এমনই এক সমস্যায় পড়েন বেশ কিছু শ্মশান যাত্রীরা। জানা গিয়েছে, মৃতব্যক্তির শববাহী গাড়ি নিয়ে নবদ্বীপ মহাশ্মশানের পথে যাচ্ছিলেন তাঁরা। কিন্তু নিয়ম অনুযায়ী গৌরাঙ্গ সেতু দিয়ে যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকায় সেতুর এক প্রান্তেই থামিয়ে দিতে হয় গাড়ি। বাধ্য হয়ে কাঁধে করেই দেহ তুলে মহাশ্মশানের উদ্দেশে হাঁটা পথে রওনা দেন যাত্রীরা। এছাড়াও বেশ কিছু শ্মশান যাত্রী তাদের গাড়ি ঘুরিয়ে নিয়ে চলে আসেন নবদ্বীপ স্বরূপগঞ্জ ফেরিঘাটে।
advertisement
আরও পড়ুন : জেনেও সতর্কতার বালাই নেই, জঙ্গলের রাস্তায় দ্রুতগতির বড়াই! ফের গেল বন্যপ্রাণ, মৃৃত্যু দুটি হরিণের
সেখানে গাড়ি রেখে রীতিমতো নৌকা ভাড়া করে শ্মশানযাত্রীরা যান সৎকারের উদ্দেশে। প্রথম দিনেই প্রায় ১৫টি শ্মশান যাত্রীর দল এসে উপস্থিত হয় স্বরূপগঞ্জ ঘাটে। পূর্ত দফতর জানিয়েছে, সেতুর নিরাপত্তা ও স্থায়িত্বের স্বার্থে জরুরি এই মেরামতির কাজ শুরু হয়েছে। নির্দিষ্ট কিছু দিনে আংশিকভাবে যান চলাচলের অনুমতি থাকলেও আগামী ৪৫ দিন কার্যত যানবাহন চলাচলে কঠোর বিধিনিষেধ জারি থাকবে।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
ফলে প্রতিদিন বহু মানুষ এবং পরিবহণ পরিষেবা এই সীমাবদ্ধতার কারণে সমস্যায় পড়বেন বলেই মনে করা হচ্ছে। স্থানীয় বাসিন্দারা দ্রুত কাজ সম্পন্ন করে সেতু পুনরায় খুলে দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন। প্রশাসন অবশ্য আশ্বাস দিয়েছে, নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই কাজ শেষ করার জন্য যুদ্ধকালীন তৎপরতায় মেরামতি চলছে। তবে ততদিন পর্যন্ত গৌরাঙ্গ সেতুকে কেন্দ্র করে ভোগান্তি বাড়বে বলেই আশঙ্কা।






