পুরো মণ্ডপ সাজান হচ্ছে রামায়ণের নানা অধ্যায়কে কেন্দ্র করে। রাম-সীতা, হনুমান, লক্ষ্মণ থেকে শুরু করে রাবণের লঙ্কা, সব মিলিয়ে রামায়ণের ঐতিহাসিক মুহূর্তগুলোকে জীবন্ত করে তুলছে শিল্পীরা। এই থিমের মাধ্যমে ক্লাবের সদস্যরা দর্শনার্থীদের মনে পৌরাণিক মূল্যবোধ ও ধর্মীয় ঐক্যের বার্তা পৌঁছে দিতে চান।
advertisement
মণ্ডপের অন্যতম আকর্ষণ থাকবে পিতলের তৈরি অনন্য সুন্দর প্রতিমা। মা কালীকে এবার দেখা যাবে এক নতুন রূপে, সোনালি আভায় উজ্জ্বল, যেন শক্তির সঙ্গে সৌন্দর্যের এক অপূর্ব সংমিশ্রণ। প্রতিমা নির্মাণের কাজ চলছে শেষ পর্যায়ে। শিল্পীরা জানিয়েছেন, প্রতিমার অলঙ্করণে ব্যবহৃত হচ্ছে খাঁটি পিতল ও কাঁসার কাজ, যা পুরো প্যান্ডেলের থিমের সঙ্গে দারুণভাবে মানিয়ে যাবে।
আলোকসজ্জায় থাকছে চন্দননগরের বিখ্যাত আলোক শিল্পীদের হাতে গড়া লাইটিং। ‘রামায়ণ’-এর বিভিন্ন দৃশ্য লাইটের মাধ্যমে ফুটিয়ে তোলা হবে, যা রাতের অন্ধকারে মণ্ডপকে করে তুলবে আরও মনোমুগ্ধকর। পুজোর বাজেট এবছর ধরা হয়েছে প্রায় ১৫ লক্ষ টাকা। পুজো নয়, কয়েকদিন ব্যাপী থাকছে অন্য মহোৎসবেরও আয়োজন, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, লোকসংগীত, নৃত্য পরিবেশনা। বালিসাই ও আশেপাশের গ্রামের মানুষ এই পুজোকে ঘিরে এখন উৎসবমুখর।
পুজোর প্রস্তুতি শুরু হল জাঁকজমকপূর্ণ খুঁটিপুজোর মাধ্যমে। প্রত্যেক বছর হাজার হাজার মানুষ ভিড় জমায় এই পুজোয়, দিঘা বা মন্দারমণিতে বেড়াতে যাওয়ার পথে বহু পর্যটকও থামেন এই ঐতিহ্যবাহী মণ্ডপে। রামায়ণের ছোঁয়ায় সেজে ওঠা এই পুজো নিঃসন্দেহে এবারের কালীপুজোর অন্যতম আকর্ষণ হতে চলেছে পূর্ব মেদিনীপুর জেলায়।