এই প্রসঙ্গে গরুর মালিক সোমনাথ মাঝি জানান, “আমি গ্রামে বেড়াতে গিয়েছিলাম সন্ধে বেলায় আমাকে বাড়ি থেকে ডাকতে আসে যে, দেখগা তোর গরুর কি হয়েছে । আমি ৬:৩০ – ৭:০০ নাগাদ বাড়ি এলাম । বাড়ির মেয়েরা সেরকম কিছু জানে না, আমি দেখলাম গরুর পেটে যে জল থাকে সেই জলটা পুরো বেরিয়ে গেল আর বাছুরটা নীচে নেমে গেল । তারপর গরুটা পুরো দূর্বল হয়ে মাটিতে শুয়ে পড়ে, আমি ভয়ে ডাক্তার বাবুকে ফোন করি । ডাক্তার বাবু এসে বাচ্চা বের করে এবং দেখা যায় দুটো মাথা। সোমনাথ মাঝি আরও জানিয়েছেন যে তিনি দীর্ঘদিন ধরে গরু লালন পালন করছেন কিন্তূ এরকম ঘটনা তিনি প্রথম দেখলেন। তবে এরকম ঘটনা কীভাবে ঘটল ? কি কারণে একটা বাছুরের দুটো মাথা হয় ? বিজ্ঞান কি বলছে ? চলুন তাহলে জেনে নেওয়া যাক !
advertisement
আরও পড়ুন:
আসলে এই ধরনের ঘটনা গুলো সাধারণভাবে জেনেটিক ডিসঅর্ডারের কারণে এগুলো হয়। কিছু কিছু ক্ষেত্রে পরিবেশগত কারণও থাকে এর মধ্যে । সাধারণভাবে এই ধরনের কেস গুলোকে আমরা বাই সেফালিক বা পলি সেফালি কাফ বলি । যখন এটা ভ্রুণ অবস্থায় থাকে তখন সেই ভ্রুণ অবস্থায় কোনো কারণে পার্সিয়াল কোনো স্প্লিট হলে এই ধরনের ঘটনা ঘটে ।
আরও পড়ুন: কিওয়ানো তরমুজ খান! এক ফলে সুগার থাকবে নিয়ন্ত্রণে! বহু রোগের সমাধান! জানুন
কাটোয়া ২ নম্বর ব্লক সমষ্টি প্রাণী সম্পদ উন্নয়ন আধিকারিক ড: জয়কিংকর মান্না আরও জানান , সাধারণভাবে দেখা গেছে এটা খুবই দুর্লভ ঘটনা । আমাদের বিজ্ঞানের হিসাবে বলছে মোটামুটি ভাবে ১০ হাজারে এরকম একটি ঘটনা ঘটলেও ঘটতে পারে । তবে সাধারণভাবে দেখা গেছে এই ধরনের বাছুর গুলো বেশি দিন বাঁচে না । ম্যাক্সিমাম আমরা যেটা লক্ষ্য করেছি এবং আমাদের কাছে যেটা রিপোর্ট আছে সেই অনুযায়ী ৪০ দিন পর্যন্ত ম্যাক্সিমাম এই বাছুর বেঁচে থাকতে পারে । তবে সাধারণত জন্মানোর কয়েক ঘণ্টা থেকে কয়েক দিন পর্যন্তই বেঁচে থাকে ।
Bonoarilal Chowdhury