এগরা ও পটাশপুর এলাকায় মূলত ধানই প্রধান ফসল। কিন্তু বোরো ও আমন চাষের মাঝের অবসর সময়ে চাষিরা আগের মতো জমি ফেলে না রেখে বিকল্প ফসল হিসেবে সরষে চাষ করছেন। কৃষি বিশেষজ্ঞদের মতে, ধান কাটার আগে যখন জমিতে কিছুটা ভিজে ভাব থাকে, তখনই অঙ্কুরিত সরষে ছড়িয়ে দিতে হয়। এরপর ধান কেটে নেওয়ার পর গাছ আরও দ্রুত বাড়তে থাকে এবং আলাদা জমি প্রস্তুতির প্রয়োজন হয় না। ফলে খরচ যেমন অনেক কম, তেমনই কম সময়ে তুলনামূলক বেশি আয় পান কৃষকেরা।
advertisement
এক বিঘা জমিতে তিন থেকে চার কেজি সরষের বীজ যথেষ্ট। এই চাষে খুব বেশি সেচেরও প্রয়োজন হয় না। দু-তিনবার সেচ দিলেই ভাল ফলন পাওয়া যায়। তবে গাছ বড় হওয়ার সময় ও বিশেষ করে ফুল আসার সময় সামান্য পরিচর্যা জরুরি। জমিতে বাড়তি শক্তি পেতে পটাশ সার দেওয়া দরকার। পাশাপাশি প্রতি লিটার জলে ২০ গ্রাম বোরন মিশিয়ে স্প্রে করলে ফুল ঝরা কমে এবং দানার গঠন আরও উন্নত হয়। গাছের সবুজ ভাব কমে এলে অল্প পরিমাণ ইউরিয়া ছড়ানো প্রয়োজন। প্রয়োজনে দানা পুষ্ট করতে কিছু হরমোন জাতীয় ওষুধও স্প্রে করা যায়। কৃষকদের মতে, ধানের ফাঁকে এই ন্যূনতম পরিচর্যাতেই তিন থেকে চার কুইন্টাল সরষে ফলানো সম্ভব হচ্ছে।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
উপকূলীয় এলাকার কৃষকরা বলছেন, কম খরচে দ্রুত ফসল ফলানোর এই পদ্ধতি তাঁদের জন্য আশীর্বাদ হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিশেষ করে পূর্ব মেদিনীপুরের এগরা ও পটাশপুরে সরষে চাষের ফলে চাষিদের হাতে বাড়তি লাভ আসছে। যা আমন চাষের খরচ পুষিয়ে দিচ্ছে। বহু কৃষক জানাচ্ছেন, আগে ধান কাটার পর জমি প্রায় দুই মাস ফাঁকা পড়ে থাকত। এখন সেই সময়টুকু কাজে লাগিয়ে সরষে চাষের মাধ্যমে লাভের অঙ্ক বেড়ে যাচ্ছে।





