শিবির পাড়ায় মূলত মুসলিম সম্প্রদায়ের বাস। সেখানেই দীর্ঘদিন ধরে সপরিবারে বসবাস করতেন বাসন্তী দে(৭৬)। বেশকিছুদিন ধরেই বার্ধক্যজনিত অসুস্থতায় ভুগছিলেন তিনি। মঙ্গলবার রাতে বাড়িতেই মৃত্যু হয় তাঁর। বাসন্তী দেবীর তিন ছেলে, কিন্তু আর্থিক অবস্থা স্বচ্ছল নয়। কীভাবে মায়ের সৎকার করবেন, তা নিয়ে চিন্তায় পড়ে যান তাঁরা। সকাল হতেই একে একে বাড়িতে ভিড় করতে থাকেন জিন্দার শেখ, ঝন্টু দাফাদার, পারিজাত শেখ, জাহিরুলরা।
advertisement
তাঁদের উদ্যোগেই মৃতদেহ সৎকারের ব্যবস্থা হয়, আর্থিক সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেন তাঁরা। এরপরই মুসলিম যুবকদের কাঁধে চেপে মৃতদেহ শ্মশানের দিকে যাত্রা শুরু করে। সেখানে হিন্দু রীতি মেনে মৃতের পরিবার ও মুসলিম প্রতিবেশীদের সহযোগিতায় সম্প্রীতির আবহে শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়।
আরও পড়ুন: ইউক্রেনে পণবন্দি ভারতের হাজার-হাজার পড়ুয়া? রাশিয়ার দাবিতে তোলপাড় বিশ্ব
মৃতার ছেলে রবীন দে বলেন, ''রাতেই মায়ের মৃত্যু হয়। কীভাবে সৎকার করব, সারারাত সেই চিন্তা করছিলাম। সকাল হতেই ওরা দেবদূতের মতো আমার পাশে এসে দাঁড়ায়। ওরা সমস্ত দায়িত্ব নিজের হাতে তুলে নিয়েছে।''
আরও পড়ুন: ধুয়েমুছে গেলেও নৈতিক জয় দেখছেন দিলীপ ঘোষ, বামেদের 'উত্থানে' তৃণমূলের হাত?
জিন্দার শেখ বলেন, ''দীর্ঘদিন ধরেই ওই পরিবারের সঙ্গে আমাদের যোগাযোগ, ওদের আর্থিক দুর্বলতার বিষয়টি জানতাম। সেই কারণে সকাল হতেই পাড়ার ছেলেদের নিয়ে ওদের বাড়ি যাই। মৃতদেহ সৎকারের ব্যবস্থা করি। ওদেরকে সব রকমের সহযোগিতা করব।''
---সমীর রুদ্র