বসিরহাটের অলি-গলি থেকে গ্রাম-গঞ্জে অনেকেই মাথায় মাদুরের ঝাঁকা নিয়ে হেঁটে চলা এই বৃদ্ধকে চিনবেন। বসিরহাটের মাটিয়া থানার নেহালপুরের এই বৃদ্ধের নাম গোলক বিহারি দাস, পরিবারে স্ত্রী, ছেলে- মেয়ে তেমন কেও নেই। তবুও নিজের রুটি-রুজির টানে এভাবেই কিলোমিটারের পর কিলোমিটার পায়ে হেঁটে গ্রামে গ্রামে ফেরি করে বেড়ান।
advertisement
আরও পড়ুন: লাখ-লাখ মানুষ পাবেন বিপুল সুবিধা, পিএম বিশ্বকর্মা প্রকল্পে কাদের মিলবে সাহায্য! জানুন
স্থানীয় একটি দোকান থেকে মাদুর কিনে সেগুলি ফেরি করে বিক্রি করে কোনরকমে জীবনযাপন করেন । ফেরি করার মাঝে চলতি পথে যুবক থেকে কিশোরদের গান, কবিতা শোনান। আবার স্কুলের ছাত্রছাত্রীদের পেলে মাধ্যমিকে প্রথম বিভাগে পাশকরা এই দাদুমাঝে মাঝে ইংরেজির বেসিক পাঠ দিতে ভোলেন না।
আরও পড়ুন: শান্তিনিকেতনকে ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ তকমা UNESCO-র! উচ্ছ্বসিত মোদি, আবেগে ভাসলেন মমতা
তবে গ্রামে মাদুর নিয়ে ফেরি করতে ঢুকলেই গ্রামের ছেলেমেয়েরা তাঁকে একনামে মাদুর দাদু বলে চেনেন। মাদুর কেনা হোক না হোক কিশোর থেকে যুবকরা মাদুর দাদুর থেকে কবিতা কিংবা গল্প না শুনে তাঁকে যেতে দেবেন না।
—– জুলফিকার মোল্যা