মূলত এটি একটি মাশরুম যার গ্রাম বাংলায় আঞ্চলিক ভাষাতে বলা হয় ছাতু! এটা জঙ্গলের ঝোপঝাড়েই উৎপত্তি হয়, হালকা বৃষ্টি হলেই দেখা মিলে এই ছাতুর, জঙ্গল লাগোয়া গ্রামের মানুষ এই সিজনে যেমন জীবনের ঝুঁকি নিয়ে জঙ্গল থেকে ছাতু তুলে এনে বাজারে বিক্রি করে লক্ষ্মী লাভ করে, ঠিক তেমনি আবার বাজারে ব্যবসায়ীরা এই সময়ে এই ছাতু বিক্রি করে একটু বাড়তি উপার্জনের মুখ দেখে! দাম বেশি হলেও এর স্বাদ একেবারে অতুলনীয়।
advertisement
ডাক্তার প্রিয়তোষ ধল্ল বলেন এই ছাতুতে ক্যালরি ভ্যালু কম, কার্বোহাইড্রেট কম আছে, এর অনেক ভিটামিন আছে, সোডিয়াম কম আছে, পটাশিয়াম বেশি থাকে, এটি একটি লো ক্যালরি এবং লো ফ্যাট জাতীয় খাবার, এটি ওজন কমাতেও সাহায্য করে, এরমধ্যে অ্যান্টিঅক্সিজেন আছে যা আমাদের শরীরের মধ্যে উপকারী। যেমন সেলোনিয়াম, কোপা, ম্যাগনেশিয়াম, ফসফরাস। এই ছাতু ব্রেন হেলথ এর ও কাজে লাগে।
আরও পড়ুন: বিশ্বকর্মা পুজোয় বাঁকুড়ায় হিট জাম্বো জিলিপি, ওজন ৪ কেজি, স্বাদে অতুলনীয়! জানুন কত পড়ছে দাম
পুজোর আগে বাঁকুড়ার বেলিয়াতোড় সবজি বাজারে এখন ছাতু কিনার হিড়িক লেগেছে, এই ছাতু কেনার জন্য ১০-১৫ এমনকি ২০ কিলোমিটার দূর থেকেও মানুষ এসে এই ছাতু কিনছেন। জানা গিয়েছে এই ছাত্র শুধুমাত্র কৃষ্ণ অষ্টমী থেকে দুর্গা অষ্টমী পর্যন্তই পাওয়া যায়। তাছাড়াও এই ছাতু যে গ্রামের মানুষরা তুলে আনে তারা একেবারে জীবনে ঝুঁকি নিয়েই তুলে আনে। কারণ জঙ্গলের মধ্যে রয়েছে হাতি তাই এই ছাতু তুলে আনা খুব কঠিন বিষয়। এই কারণেই মূলত এত বেশি চাহিদা এই ছাতুর।