স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, পাটামারী গ্রামে রেললাইনের একপাশে গ্রাম এবং অপর পাশে রয়েছে স্কুল ও মন্দির। বৃহস্পতিবার রাতভর ওই মন্দিরে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান চলে। সেই অনুষ্ঠান দেখে শুক্রবার ভোরে বাড়ি ফিরছিলেন জীবন। সেই সময় ফাস্ট প্যাসেঞ্জার ট্রেনের ধাক্কায় ছিন্নভিন্ন হয়ে যায় তাঁর দেহ। ঘটনাস্থলেই তাঁর মৃত্যু হয়।
advertisement
এলাকার বাসিন্দাদের অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরেই রেলগেট বা ফ্লাইওভারের দাবি জানানো হচ্ছে। কারণ পাটামারীর পাশাপাশি সাতডাঙ্গাপাড়া সহ আশেপাশের একাধিক গ্রামের মানুষ প্রতিদিন এই রেললাইন পার হয়ে যাতায়াত করেন। এর আগেও এই এলাকায় একাধিক দুর্ঘটনা ঘটেছে। রেলগেট না থাকার কারণেই এই ধরনের মৃত্যুর ঘটনা বারবার ফিরে আসছে বলে দাবি তাঁদের।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
শুক্রবার সকালেও যেমন একটি মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে গেল। সেই খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছন জিআরপি–র ওসি। জিআরপি মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজে পাঠায়। এলাকাবাসীর দাবি, “রেলগেট থাকলে হয়ত জীবন বাঁচত। প্রতিদিনই আমরা প্রাণ হাতে নিয়ে এই লাইন পার হই।” ফলে আবারও প্রশ্ন উঠছে, কবে মিলবে নিরাপদ পারাপারের সুযোগ? শুক্রবার দুপুরে জীবনের ময়নাতদন্তের পর পরিবারের সদস্যদের হাতে মৃতদেহ তুলে দেওয়া হয়। ঘটনার জেরে মৃতের পরিবার সহ গ্রাম জুড়ে শোকের ছায়া ছড়িয়ে পড়েছে।






