জানা গিয়েছে, পারিবারিক অনুষ্ঠানের যোগ দিয়েছিলেন অনেকে। রান্না চলছিল, সেই সময় গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণ হয়। মুহূর্তে আগুন লেগে যায় পাশে থাকা শিশুদের গায়ে। গুরুতর আহত হয়েছে ১১ শিশু। তড়িঘড়ি তাদের উদ্ধার করে প্রথমে কানাপুকুর প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে এবং লালবাগ মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অবস্থার অবনতি হলে পাঁচজনকে বহরমপুরে মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়েছে চিকিৎসার জন্য।
advertisement
আরও পড়ুনঃ গরমে শরীর থাকবে চাঙ্গা! সুগারের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে, রোজ এই চা খেলে শরীরে ঘটবে ম্যাজিক
আহত শিশুর অভিভাবক কুরমান আলি জানান, ভগবানগোলার হাবাসপুর খাস মহল এলাকার বাসিন্দা আলতাব শেখের বাড়িতে নিমন্ত্রণ ছিল। অনুষ্ঠানের জন্য রান্নার আয়োজন ছিল, সকাল থেকে রান্না শুরুও হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু হঠাৎই গ্যাস সিলিন্ডার ফেটে গিয়ে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। রান্নার জায়গার পাশেই খেলা করছিল বাচ্চারা। আগুন পাশে থাকা ত্রিপলে ছড়িয়ে পড়লে ভয়াবহ আকার ধারণ করে। সেখানেই খেলা করছিল শিশুরা। আগুনের লেলিহান শিখা গ্রাস করে নেয় ১১ শিশুকে। গুরুতর আহত হয়েছে সকলে।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, আহতদের উদ্ধার করে তড়িঘড়ি প্রথমে কানাপুকুর প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ও পরে পাঁচজনের অবস্থা অবনতি হলে তাদের মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে গোটা এলাকায়। এদিকে, খবর পেয়ে বহরমপুরে মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ছুটে যান বহরমপুর পৌরসভার চেয়ারম্যান নারুগোপাল মুখোপাধ্যায়। শিশুর পরিবারের পাশে থাকার আশ্বাস দেন।
চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, আহত শিশুদের চিকিৎসা চলছে। বর্তমানে সকলের অবস্থা স্থিতিশীল রয়েছে। ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিশ। কীভাবে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণ ঘটল, তার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ ও দমকল কর্মীরা।
কৌশিক অধিকারী






