TRENDING:

হলটা কী মুর্শিদাবাদে! শীতের মরশুম শুরু হতেই লোটা-কম্বল গুছিয়ে পালাচ্ছেন বাসিন্দারা, কারণ জানলে চোখে জল আসবে

Last Updated:

সামনেই শীত। ইতিমধ্যেই হালকা ঠাণ্ডা পড়তে শুরু করেছে। আর এমন মুহূর্তেই আচমকা লোটা-কম্বল গুছিয়ে পালাচ্ছেন মুর্শিদাবাদের বাসিন্দারা

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
সামশেরগঞ্জ, তন্ময় মণ্ডল: সামনেই শীত। ইতিমধ্যেই হালকা ঠাণ্ডা পড়তে শুরু করেছে। তবে শীত আসার আগেই চিন্তা বাড়ছে সামশেরগঞ্জে। নতুন করে ভাঙনের জেরে গ্রাম ছেড়ে ভিটে মাটি ছেড়ে চলে যাচ্ছেন উত্তর চাচন্ড গ্রামের বাসিন্দারা।কোথায় থাকবেন যেমন ঠিক নেই, ঠিক তেমনই যেকোনও সময় তলিয়ে যেতে পারে বিঘের পর বিঘা জমি। তাই বাধ্য হয়ে চলে যাচ্ছেন আসবাবপত্র নিয়ে বাসিন্দারা।
advertisement

চোখের সামনেই গঙ্গার গর্ভে তলিয়ে যাচ্ছে বাড়ির একাংশ, ইতিমধ্যেই তলিয়ে গিয়েছে ICDS সেন্টার। শুধু তাই নয়, ফাটল দেখা দিয়েছে আরও অন্তত পাঁচ থেকে সাতটি বাড়িতে। ফলে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে সমগ্র গ্রামজুড়ে। আতঙ্কে ভিটে মাটি ছেড়ে অন্যত্র চলে যাচ্ছেন গ্রামের অনেকে। স্থানীয়রা জানান, যেকোনও মুহূর্তে আরও বেশ কিছু বাড়িঘর নদীগর্ভে চলে যেতে পারে। বাঁধের উপর দিয়ে নির্মিত ঢালাই রাস্তার একাংশ গঙ্গায় ভেঙে পড়েছে ইতিমধ্যেই। ফলে মানুষের ভোগান্তি আরও বেড়েছে। বাধ্য হয়ে বাড়িঘর ছেড়ে অন্যত্র চলে যাচ্ছেন গ্রামের বাসিন্দারা। আতঙ্ক, দুঃশ্চিন্তা আর অনিশ্চয়তা যেন গ্রাস করেছে গোটা উত্তর চাচন্ডকে। ফলে শীতের আগেই খোলা আকাশের নীচে এখন আশ্রয় হতে হচ্ছে ভাঙন কবলিত দুর্গতদের।

advertisement

আরও পড়ুন: একই জেলায় পথ দুর্ঘটনায় মৃত ২! পুজো মিটতেই কেন আচমকা বেড়ে গেল পথদুর্ঘটনার মাত্রা? জানুন

View More

উল্লেখ্য, গত কয়েকদিন গঙ্গার জলস্তর কিছুটা কমছিল। কিন্তু আচমকাই গত তিন দিন ধরে ফের বেড়েছে নদীর জল। আর সেই জলবৃদ্ধির সঙ্গেই শুরু হয়েছে নতুন করে ভয়াবহ ভাঙন। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, বছর ঘুরলেই গঙ্গার ভাঙন তাঁদের ঘরবাড়ি, জমিজমা, এমনকি চাষের ক্ষেতও কেড়ে নেয়। তবু প্রশাসনের তরফে স্থায়ী সমাধানের কোনও উদ্যোগই নেওয়া হয় না।

advertisement

আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন

সেরা ভিডিও

আরও দেখুন
মাশরুমের আচার-কাসুন্দি আরও অনেককিছু!সুস্বাদু পণ্য বানানোর নতুন বিজনেস আইডিয়া মহিলাদের জন্য
আরও দেখুন

এক স্থানীয়ের কথায়, “প্রতি বছর ভিটেমাটি হারাই, কেউ খোঁজ নেয় না। শুধু আশ্বাসেই দিন কেটে যায়।” তাঁদের দাবি, গঙ্গাভাঙন রোধে বিজ্ঞানসম্মত ও টেকসই ব্যবস্থা নেওয়া না হলে সামশেরগঞ্জের বিস্তীর্ণ অংশ মানচিত্র থেকে মুছে যাবে একদিন।

advertisement

বাংলা খবর/ খবর/দক্ষিণবঙ্গ/
হলটা কী মুর্শিদাবাদে! শীতের মরশুম শুরু হতেই লোটা-কম্বল গুছিয়ে পালাচ্ছেন বাসিন্দারা, কারণ জানলে চোখে জল আসবে
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল