জানা গিয়েছে, দুর্গাপুজো মিটতেই নতুন করে গঙ্গা ভাঙনের আতঙ্ক মুর্শিদাবাদ জেলার সামশেরগঞ্জের চাচন্ড গ্রামে। ইতিমধ্যেই ব্যাপক আতঙ্ক সৃষ্টি হয় এলাকাজুড়ে। ভাঙনের গর্ভে তলিয়ে যায় নদীর ধারে থাকা বাঁধের একটি রাস্তার একাংশ। উত্তর চাচণ্ড ও মধ্য চাচণ্ড এর সংযোগস্থল। বিশালাকারের ফাটল ধরে ঐতিহ্যবাহী কালী মন্দিরে। কালী মন্দিরের নীচের অংশের মাটি গঙ্গা গর্ভে তলিয়ে যায়। প্রায় ১০০ মিটার জমিও যায় গঙ্গা গর্ভে। ভাঙন শুরু হতেই এলাকাজুড়ে আতঙ্ক। ঘুম বন্ধ এলাকাবাসীর। কালী মন্দির ভাঙনের হাত থেকে যেন রক্ষা পায়। প্রার্থনা করেন এলাকাবাসী। যদিও শেষ রক্ষা হয়নি। বেশ কিছু বাড়ি তলিয়ে যাওয়ার আশঙ্কা। লক্ষ্মীপুজোর দিন সর্বস্বান্ত এলাকাবাসীর অনেকে।
advertisement
শুধু বাড়ি নয়, নদী গর্ভে বিলীন বড় বড় গাছ। হঠাৎ করে ভাঙনের ফলে ঘরের আসবাবপত্র সবকিছু নদীগর্ভে তলিয়ে গিয়েছে। ভেসে গিয়েছে বেশ কয়েক’টি গবাদি পশু। ইতিমধ্যেই ভাঙন নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য বালির বস্তা ফেলা হচ্ছে প্রশাসনের পক্ষ থেকে। মুর্শিদাবাদের সামশেরগঞ্জের চাচন্ড গ্রামের বাসিন্দারা জানিয়েছেন, সঠিকভাবে কাজ করা হলে ভাঙন নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হবে।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
গ্রামের বাসিন্দারা জানিয়েছেন, “সকাল থেকেই আমরা দেখছি অল্প করে মাটি নেমে যাচ্ছে। রাত ৯ টার দিকে অনেকটা জায়গা বসে গিয়েছে। বাড়ি-ঘর তলিয়ে যাওয়ার আশঙ্কা। এখানে ১০০ বছরের প্রাচীন কালী মন্দির রয়েছে। সেই চত্বরে ফাটল ধরে।”
মুর্শিদাবাদ জেলা পরিষদের সভাধিপতি রুবিয়া সুলতানা জানিয়েছেন, ভাঙন রোধে রাজ্যে সরকার যে অর্থ বরাদ্দ করেছিল তা দিয়েই বালির বস্তা ফেলে কাজ চালানো হচ্ছে। পরিস্থিতির উপর নজর রাখা হচ্ছে।