প্লাস্টিক ‘বায়ো-ডিগ্রেডেবল’ নয়। অর্থাৎ প্লাস্টিকের ক্ষয় হয় না বললেই চলে। তবে এর বহুল ব্যবহার পরিবেশের ক্ষতি করে। পরিবেশ রক্ষায় প্লাস্টিকের ব্যবহার কমানো ও ব্যবহৃত প্লাস্টিকের বিকল্প ব্যবহারে গুরুত্ব দিচ্ছেন পরিবেশপ্রেমীরা। তাই মুর্শিদাবাদ জেলার মধ্যে প্রথম কান্দি শহরে কান্দি পৌরসভার উদ্যোগে প্রায় দু’কিলোমিটার জুড়ে প্লাস্টিক রাস্তা তৈরি করা হল। এই রাস্তা টিকবে ৮ থেকে ১০ বছর। পিচের রাস্তা টেকসই করে ৪ থেকে ৫বছর। কিন্তু এই রাস্তা আরও বেশি টেকসই করবে।
advertisement
পাকা রাস্তার উপরের স্তরে পিচের সঙ্গে নীল প্লাস্টিক টুকরো মিশিয়ে প্রলেপ দেওয়া হয়েছে। এমন নীল রাস্তা মুর্শিদাবাদ জেলাতে এই প্রথম বলে দাবি কান্দি পৌরসভার। প্রায় দু’লক্ষ প্লাস্টিক ব্যাগ ব্যবহার, ১৬ হাজার প্লাস্টিক বোতল ও ৩৫০ কেজি প্লাস্টিক ব্যবহার করেই নতুন রাস্তা তৈরি করা হয়েছে। যা পিচের থেকেও বেশি মজবুত। বিটুমিনের সঙ্গে প্লাস্টিক মিশিয়ে তৈরি করা হয়েছে এই সড়ক। এছাড়াও প্লাস্টিক রং ব্যবহার করা হয়েছে রাস্তায়।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
কান্দি পৌরসভার চেয়ারম্যান জয়দেব ঘটক জানিয়েছেন, “কান্দি বিধায়ক অপূর্ব সরকার তার নিজস্ব উদ্যোগে এই রাস্তা তৈরির চিন্তাভাবনা করা হয়েছে। ন্যাশনাল গ্রিন ট্রাইবুনালের নির্দেশ মেনে সমস্ত কান্দি পৌরসভাতে শুরু হয়েছে কঠিন ও প্লাস্টিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনা। তারই একটা অংশ হয়ে উঠেছে বর্জ্য প্লাস্টিক ব্যবহার করে রাস্তা নির্মাণ। বর্জ্য প্লাস্টিক ব্যবহার করে রাস্তা নির্মাণ করলে তা অনেক টেকসই হচ্ছে। পিচের প্রধান শত্রু জল। জল পেলে পিচের রাস্তা নষ্ট হয়ে যায়। কিন্তু তাতে প্লাস্টিক মেশানো থাকলে তা নষ্ট হয় না। এই প্লাস্টিকের ব্যবহার করেই রাস্তা আরও মজবুত হচ্ছে। দ্রুত রাস্তা খারাপ হওয়ার সম্ভাবনা নেই। ফলে এই রাস্তা জল জমলেও হবে না ক্ষতি। টিকবে দীর্ঘদিন রাস্তা। আবার পরিবেশের ক্ষতিকারক প্লাস্টিক ব্যবহার করার ফলে তা পরিবেশের ক্ষতিসাধন করতে পারছে না। পিচের সঙ্গে ১০ শতাংশ হারে বর্জ্য প্লাস্টিকের টুকরো ব্যবহার করে রাস্তা গড়া হচ্ছে।”





