চোর সন্দেহে তাঁকে নিয়ে আসা হয় জঙ্গিপুর হাসপাতালে। সদ্যোজাতকে নিয়ে ছুটছে পুলিশ থেকে চিকিৎসক সকলে। কিন্তু আসল মাকে খুঁজে পাওয়া গেল না বেডে। পাশের রোগীরাই চিনিয়ে দিল সেই আসল মা। ভ্রমটা কাটল পুলিশের। আসলে ওই মহিলা আদিবাসী। ভাষা ঠিক বোঝেন না।গত ৩০ মার্চ জঙ্গিপুর মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি হন মিলি খাতুন নামে ওই মহিলা। সেখানেই পুত্রসন্তানের জন্ম দেন তিনি।
advertisement
আরও পড়ুন: শুকনো গরমের অস্বস্তি কলকাতায়, আগামী সপ্তাহেই আবহাওয়ায় বিরাট বদল! চরম পূর্বাভাস
কিন্তু বুধবার সকালে হঠাৎই হাসপাতাল থেকে নিজের সন্তানকে নিয়ে ৪ কিলোমিটার দূরে বালিঘাটা এলাকায় চলে যান তিনি। ওই এলাকার ব্রাত্য হালদার নামে এক ব্যক্তির বাড়িতে ঢুকে একদিনের জন্য তিনি থাকতে চান। এরপরই সদ্যোজাত শিশু নিয়ে ঘোরাফেরা করতে দেখে এলাকাবাসীদের সন্দেহ হয়। কাছে গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করতেই দেখা যায় শিশুটির হাতে জঙ্গিপুর মহকুমা হাসপাতালের ২৫২নং লেখা একটি টোকেন রয়েছে।
আরও পড়ুন: সুযোগ পেলেই জোয়ান খান? শরীরে কী হচ্ছে এতে জানেন? মাথা ঘুরে যাবে জানলে
আর তারপরেই এলাকাবাসীরা ওই মহিলাকে শিশু চোর সন্দেহে আটক করে রাখে। রঘুনাথগঞ্জ থানায় খবর দেওয়া হলে পুলিশ এসে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়। আর তারপরেই রোগীরাই চিনিয়ে দেয় ওই মহিলাই সদ্যোজাত শিশুর আসল মা। আর এই ঘটনায় রীতিমতো তোলপাড় পড়ে যায় থানা থেকে শুরু করে গোটা হাসপাতাল চত্বরে।