মৃত সদ্যোজাত শিশুর বাবা রাসেল সেখ জানান, “প্রসব বেদনা নিয়ে স্ত্রীকে ভর্তি করা হয় তেঘরি প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে। চরম প্রসব যন্ত্রণা নিয়ে ছটফট করে আমার স্ত্রী। একাধিকবার কর্তব্যরত নার্সিং কর্মী-সহ চিকিৎসকে জানানো হলেও তারা কর্ণপাত করেননি। বিকেল তিনটে নাগাদ পুত্র সন্তানের জন্ম দেয় আমার স্ত্রী। কিছুক্ষণ পর চিকিৎসক জানান, সদ্যোজাত শিশুর অবস্থা ভাল নয়। SNCU-তে স্থানান্তরিত করতে হবে।”
advertisement
দীর্ঘক্ষণ ধরে প্রসব বেদনা নিয়ে ছটপট করতে থাকার কারণেই সন্তান অসুস্থ হয়ে পড়ে। স্থানান্তরিত করতেও বিলম্ব করে চিকিৎসকেরা। সেই সময় শিশুর চিকিৎসার কোন ব্যবস্থা করেননি প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রের চিকিৎসকেরা, এমনই অভিযোগ পরিবারের। দু’ঘন্টা পর জঙ্গিপুর মহকুমা হাসপাতালে শিশুটাকে নিয়ে যাওয়া হয়। জঙ্গিপুর মহকুমা সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল মারা যায় ওই সদ্যজাত।
আরও পড়ুনঃ রাতের অন্ধকারে ‘কারা’ যেন গাড়িতে তুলে নিয়ে গেল! নিঝুম মাঠে পড়ে রইল দেহ, আসানসোলে হাড়হিম করা কাণ্ড
পরিবারের অভিযোগ, সঠিক সময়ে চিকিৎসক এসে শিশুটিকে প্রসব করানোর ব্যবস্থা করলে এবং শিশুটির উপযুক্ত চিকিৎসার ব্যবস্থা করলে মৃত্যু হত না। ঘটনার প্রতিবাদে মঙ্গলবার দুপুর থেকেই দফায় দফায় তেঘরি প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে চলে বিক্ষোভ। পরিস্থিতি সামাল দিতে জঙ্গিপুর ফাঁড়ির পুলিশ আসে।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
তেঘরি BMOH ডাঃ সুদীপ্ত কুমার দাস জানান, ইতিমধ্যেই একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। কী কারণে শিশুটির মৃত্যু হয়েছে সেই বিষয়ে তদন্ত করা হবে। যদি চিকিৎসার গাফিলতি থেকে থাকে সেই বিষয়ে উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।