৩০ শয্যার এই গ্রামীণ হাসপাতালে বছর খানেক আগে সাংসদ কোটা থেকে জেনারেটর দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু তেল দেওয়া হচ্ছে না বলে জেনারেটর চলে না বলে সাফাই ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিকের। মুর্শিদাবাদ জেলার রানিনগরের ৩০ শয্যার গোধনপাড়া গ্রামীণ হাসপাতালের উপর নির্ভরশীল এই ব্লকের মানুষেরা। কিন্তু এই হাসপাতালে বিদ্যুৎ নিয়ে চরম ভোগান্তির শিকার রোগী ও রোগীর আত্মীয়রা।
advertisement
প্রচণ্ড গরমের মধ্যে মাঝেমধ্যেই হচ্ছে লোড শেডিং। কিন্তু জেনারেটর থাকলেও জেনারেটর চালানোর তেল না থাকায় অসুস্থ রোগীদের ঘরের মধ্যে অন্ধকারেই থাকতে হচ্ছে। কখনও ৪ ঘণ্টা কখনও ৫ ঘণ্টা করে বিদ্যুৎ না থাকায় হাত পাখাই ভরসা হয়ে দাড়িয়েছে রোগী ও রোগীর আত্মীয়দের। বিদ্যুৎ না থাকায় সুস্থ হতে এসে আর ও অসুস্থ হয়ে পড়ছেন রোগীরা। তাই অবিলম্বে জেনারেটরের ব্যবস্থা করার দাবি জানান রোগী ও রোগীর আত্মীয়রা।
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রোগী আমিনুল সরকার বলেন, ‘‘দিনে দু’তিনবার করে লোড শেডিং হচ্ছে। যখনই লোড শেডিং হচ্ছে ৪-৫ ঘণ্টার আগে বিদ্যুৎ আসছে না। স্যালাইন নেওয়ার পর গরমে খুব কষ্ট হচ্ছে। চিকিৎসকেরাও এসে ঠিক মতো দেখছেন না। এইভাবে হাসপাতালে থাকলে আরও অসুস্থ হয়ে পড়ব।’’
রোগীর আত্মীয় পারভিনা বিবি বলেন, ‘‘আমার ছেলেকে সুস্থ করার জন্য হাসপাতালে ভর্তি করেছিলাম। কিন্তু হাসপাতালে বিদ্যুৎ না থাকায় এই তীব্র গরমে আরও অসুস্থ হয়ে যাচ্ছে। আমাদেরকেই হাত পাখা দিয়ে হাওয়া করতে হচ্ছে। দ্রুত হাসপাতালে জেনারেটরের ব্যবস্থা করা হোক।’’
যদিও ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক ডাঃ সামিম আকতার বলেন, ‘‘বিদ্যুৎ না থাকলে ইনভার্টার চালানো হয়। কিন্তু তেল দেওয়া হচ্ছে না বলে জেনারেটর চলে না। তেলের ব্যবস্থা হলেই জেনারেটর চালু করা হবে।’’ রানিনগরের বিধায়ক সৌমিক হোসেন এই খবর পেয়ে হাসপাতালে ছুটে যান। এরপরে পঞ্চায়েত সমিতি থেকে জেনারেটরের তেলের ব্যবস্থা করে দেন। তিনি বলেন, ‘‘বিষয়টি আমার জানা ছিল না। আমি জানতে পেরেই হাসপাতালে যাই। যে পরিমাণ তেল লাগবে পঞ্চায়েত সমিতি থেকে সেই তেল দেওয়া হবে।’’