কোনও রকমে পরিবারের লোকজন বাড়ি থেকে বেড়িয়ে আসেন। প্রাণে রক্ষা পেলেও সহায় সম্বলটুকু হারিয়ে দিশেহারা হয়ে পড়ে পরিবার। দিন আনা দিন খাওয়া সংসারে দিনমজুরি করে সংসার চলে। কোনও রকমে চলা সংসারে সরকারি সাহায্যের আর্জি ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারের।
আরও পড়ুন: কষ্ট পাচ্ছেন? মনে হচ্ছে, জীবনটাই মূল্যহীন, ভেঙে পড়বেন না! ‘মনের কথা পুলিশ দিদির সঙ্গে’ বলুন
advertisement
এদিন সকাল থেকে অসহ্য গরম আর তীব্র তাপপ্রবাহের পর বিকেলে আকাশ কালো করে শুরু হয় কালবৈশাখী ঝড়। প্রচন্ড ঝড়ের বেগ সঙ্গে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ ঝমঝমিয়ে বৃষ্টি নামে। ঝড়বৃষ্টিতে গরম থেকে খানিকটা স্বস্তি পায় সাধারণ মানুষ থেকে সমস্ত প্রানীকূল। মঙ্গলবার বিকেলের ঝড়বৃষ্টি গরম থেকে খানিক স্বস্তি দিলেও কালবৈশাখীর তাণ্ডবে বাড়ি ও দোকানঘর ভেঙে পড়ে সাগরপাড়া থানার নবীপুরের বাসিন্দা নজরুল সেখের। দিন আনা দিন খাওয়া সংসারে দিনমজুরি করে কোনোও রকমে চলে সংসার। কোনও রকমে পরিবারের লোকজন বাড়ি থেকে বেড়িয়ে আসে। প্রাণে রক্ষা পেলেও সহায় সম্বলটুকু হারিয়ে দিশেহারা হয়ে পড়ে পরিবার।
আরও পড়ুন: ‘বাঁচাও, বাঁচাও, আমাদের বাঁচাও’, বিদেশ থেকে কাতর আর্তি বড়ঞাঁর ৭ যুবকের! আঁতকে ওঠা ঘটনা
ঝড়ে নষ্ট হয়ে যায় বাড়ির আসবাবপত্র, প্রয়োজনীয় নথি, দোকানের জিনিসপত্র-সহ সমস্ত কিছু। সরকারি সাহায্যের আর্জি ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারের। ক্ষতিগ্রস্থ পারভিনা বিবি বলেন, ‘ঝড়বৃষ্টি শুরুর হতেই দমকা হাওয়ায় হঠাৎ বাড়ির চালটা উড়ে যায়। তারপর গোটা বাড়িটা আর পাশের দোকানঘরটা হুড়মুড়িয়ে পড়ে যায়। কোনও রকমে প্রাণ হাতে করে বেড়িয়ে এসেছি। সবকিছু হারিয়ে আমরা নিঃস্ব। আমরা চাই সরকার আমাদের সাহায্য করুক।’ ক্ষতিগ্রস্থ নজরুল সেখ বলেন, ‘বাড়িটা আর দোকান ঘর, দুটোই ঝড়ে কেড়ে নিল। মাথার উপর ছাদটাও থাকল না আবার রোজগারের দোকান ঘরটাও আর থাকল না। কোথায় থাকব, কী খাব কিছুই বুঝতে পারছি না। সবকিছু হারিয়ে আমরা রাস্তায় এসে দাঁড়িয়েছি। আমরা চাই সরকার আমাদের সাহায্য করুক।’
প্রণব কুমার বন্দ্যোপাধ্যায়
