জানা যায়, সারা রাজ্যের পাশাপাশি ডোমকল ভবতরণ হাইস্কুলেও পরীক্ষা চলছিল। পরীক্ষা চলাকালীন জাল পরিচয়ে পরীক্ষা দিতে গিয়ে হাতেনাতে ধরা পড়েন মূল অভিযুক্ত অরুণ সিকদার (৩৪), যিনি এই চক্রের মাথা এবং ভুয়ো পরীক্ষার্থী হিসেবে পরীক্ষায় বসেছিলেন। তাঁর বাড়ি নদিয়ার বেতাই, সাউথ জিতপুর এলাকায়।
আরও পড়ুনঃ সাইকেল নিয়ে বাড়ি থেকে বেরিয়েছিলেন, পিছন থেকে ধাক্কা মারল গাড়ি! রাস্তাতেই প্রাণ গেল দাঁতনের ব্যবসায়ীর
advertisement
এই ঘটনায় গ্রেফতার হয়েছেন আরও দুই অভিযুক্ত। তাঁরা হলেন বিধান সিকদার (৩২), যিনি প্রকৃত পরীক্ষার্থী হলেও নিজের জায়গায় ভাইকে পাঠিয়ে অপরাধে সহায়তা করেছেন এবং সন্দীপ মণ্ডল (২৮)। সন্দীপ মুর্শিদাবাদের সাগরপাড়া থানার নরসিংহপুর গ্রামের বাসিন্দা, যিনি এই জালিয়াতি চক্রে সক্রিয় ভূমিকা নিয়েছেন।
পুলিশ সূত্রে খবর, দীর্ঘদিন ধরেই এই চক্রের বিরুদ্ধে সরকারি পরীক্ষায় ভুয়ো পরীক্ষার্থী বসিয়ে টাকা নেওয়ার অভিযোগ ছিল। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে অভিযান চালায় পুলিশ। পরিচয় যাচাই এবং বায়োমেট্রিকের গড়মিল ধরেই এই জালিয়াতিকে পাকড়াও করা সম্ভব হয়। ধৃত ৩ জনের বিরুদ্ধে প্রতারণা, জালিয়াতি, ষড়যন্ত্র ও পরীক্ষা ব্যবস্থায় কারচুপির মতো গুরুতর ধারায় মামলা রুজু হয়েছে।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
পুলিশ জানিয়েছে, এই চক্রের সঙ্গে আর কারা জড়িত, কীভাবে চলত এই ফেক এক্সাম র্যাকেট, আর্থিক লেনদেন এবং নেটওয়ার্ক- সবটাই গভীরভাবে তদন্ত করা হচ্ছে। সরকারি নিয়োগ ব্যবস্থায় স্বচ্ছতা নষ্টের এই প্রচেষ্টাকে সবচেয়ে কঠোর হাতে দমন করা হবে বলে জানিয়েছে প্রশাসন। ধৃতদের আজ বহরমপুর জেলা আদালতে তোলা হয়। পুলিশি সাফল্যে রাজ্যজুড়ে তোলপাড়, নিয়োগ পরীক্ষায় আরও কড়া নজরদারি হচ্ছে।






