পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রতিদিনের মতো রবিবার দিনও তিনি সকালে মাঠে কাজ করতে বেরিয়েছিলেন। সাধারণত সন্ধ্যার আগেই বাড়ি ফিরে আসতেন, কিন্তু ওই দিন তিনি আর বাড়ি ফেরেননি। পরিবারের লোকজন ভেবেছিলেন, তিনি কিছুক্ষণের মধ্যেই বাড়ি ফিরে আসবেন, তাই প্রথমে খোঁজ নেওয়া হয়নি। এদিকে, সীমান্ত এলাকায় টহল দেওয়ার সময় রবিবার মধ্যে রাতে বিএসএফ কর্তব্যরত জওয়ানরা এক ব্যক্তিকে অসুস্থ অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন। সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে উদ্ধার করে সীমান্তের অপি পয়েন্টে নিয়ে আসা হয়।
advertisement
আরও পড়ুন: অবশেষে স্বস্তি! এবার হাতের কাছেই…! মুর্শিদাবাদে নতুন দমকল কেন্দ্র তৈরির কাজ শুরু করে দিল প্রশাসন
সেখানে অবস্থার আরও অবনতি হলে দ্রুত অ্যাম্বুল্যান্সে করে তাঁকে রাণীনগর গোধনপাড়া স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়। তবে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা ওই কৃষককে মৃত বলে ঘোষণা করেন। পরে খবর দেওয়া হলে মৃতের পরিবার হাসপাতালে এসে পৌঁছয়। এই ঘটনায় গোটা পরিবারে নেমে এসেছে শোকের ছায়া।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
মৃতের পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছেন, “কৃষি কাজের উপর নির্ভর। কিরেণ মণ্ডল দৈনন্দিন সীমান্ত এলাকায় কৃষি কাজ করতে যান। সন্ধ্যা হলেও বাড়ি ফেরেননি তিনি। পরে বিএসএফ আমাদেরকে খবর দেয়। আমরা ছুটে আসি হাসপাতালে। এসে দেখি কিরেণ মণ্ডলের দেহ পড়ে আছে। কীভাবে এই মৃত্যু তার তদন্ত আমরাও চাই।”
সোমবারে দেহ ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালে মর্গে পাঠিয়েছে পুলিশ। দেহ ময়নাতদন্তের পর দেহ তুলে দেওয়া হবে পরিবারের সদস্যদের হাতে। কীভাবে এই চাষির মৃত্যু তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। মৃত্যুর সঠিক কারণ জানতে তদন্ত শুরু হয়েছে।






