পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, খয়রা গ্রামের বাড়িতে বছর ৫৮-র মা মিনতি গোস্বামী ও ছেলে রঘুনাথ গোস্বামী থাকতেন। মৃত মিনতি দেবী প্রায় দেড় বছর ধরে শয্যাশায়ী ছিলেন। অন্যদিকে, অভিযুক্ত ছেলে রঘুনাথ গোস্বামী বিগত ১০ বছর ধরে ক্যান্সার রোগে ভুগছিলেন। এই কঠিন রোগের ফলেই সম্প্রতি তিনি তাঁর মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে ফেলেন। বেশ কিছু দিন ধরেই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন।
advertisement
আরও পড়ুন : চোখের পলকে রাস্তায় মিলিয়ে যাচ্ছে যুবক! কাঁধে জাতীয় পতাকা, স্কেটিং করে ভারত চষে ফেলার টার্গেট
রবিবার বিকালে চিকিৎসা করানোর পর বাড়ি ফিরে আসেন রঘুনাথ গোস্বামী। আর তার পরেই রবিবার গভীর রাতে এই নৃশংস হত্যাকাণ্ড সামনে এসেছে। মাকে সামনে পেয়ে কুপিয়ে ছেলে খুন করেছে বলে জানা গিয়েছে। স্বামীর মৃত্যুর পর ছেলেকে নিয়ে থাকতেন তিনি। স্থানীয়দের সূত্রে জানা গিয়েছে, ছেলে ক্যান্সার রোগে আক্রান্ত হওয়ার কারণেই মানষিক রোগে ভুগছিলেন।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
ভরতপুর থানার পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থল থেকে মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে। একই সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে রোগগ্রস্ত এবং মানসিক ভারসাম্য হারানো জেরেই এই নৃশংস ঘটনা বলে প্রাথমিক অনুমান পুলিশের। এই হৃদয় বিদারক ঘটনায় বর্তমানে গোটা খয়রা গ্রামে নেমে এসেছে শোকের ছায়া। পুলিশ দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কান্দি মহকুমা হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে। অন্যদিকে, অভিযুক্ত ছেলেকে বর্তমানে বহরমপুরে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করা হয়েছে।






