জানা গিয়েছে, প্রায় এক মাস আগে পরিবারের আর্থিক সংকট মেটাতে নির্মাণ শ্রমিকের কাজ করতে অন্য শ্রমিকদের সঙ্গে তামিলনাড়ু যান শুকুর। কয়েকদিন ধরেই অসুস্থ বোধ করছিলেন তিনি। শুক্রবার সকালে তাঁর মৃত্যু হয়। সেই খবর বাড়িতে পৌঁছতেই পরিবার ও মধ্য চাচন্ড গ্রামে শোকের ছায়া নেমে আসে। কান্নায় ভেঙে পড়েন তাঁরা। পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম সদস্য ছিলেন শুকুর আলী মীর। স্ত্রী, ছোট ছোট সন্তানদের ভবিষ্যত এখন অনিশ্চিত।
advertisement
এদিকে ভিনরাজ্যে শ্রমিকের মৃত্যুর খবর পেয়ে পরিবারের কাছে পৌঁছন চাচন্ড গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান প্রতিনিধি গোলাপ হোসেন, গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্যের প্রতিনিধি রাকিব হোসেন, সমাজকর্মী কাদিরুল ইসলাম। ইতিমধ্যেই দেহ ফিরিয়ে আনার জন্য সমাজকর্মী কাদিরুল ইসলাম তামিলনাড়ু প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ শুরু করেছেন। দ্রুত কীভাবে দেহ বাড়ি নিয়ে আসা যায় সেই ব্যবস্থা করা হচ্ছে। ভিনরাজ্যে শ্রমিকের মৃত্যুর খবরে এলাকা জুড়ে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
চাচন্ড গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান প্রতিনিধি গোলাপ হোসেন জানান, সামশেরগঞ্জের বিধায়ক আমিরুল ইসলামের নির্দেশে তৃণমূলের প্রতিনিধি দল এখানে উপস্থিত হয়েছে। পরিবারের সঙ্গে দেখা করে কথা বললাম। আমরা পরিবারের পাশে আছি। সব রকমের সহযোগিতা করব। এই পরিবারের আর্থিক অবস্থা খুব একটা ভালো নয়, সেই জন্য সেই শুকুর আলী মীরের দেহ বাড়ি নিয়ে আসার ব্যবস্থা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন তিনি।






