শিল্পীদের কথায়, বছর বছর চাহিদা বাড়ছে দেব-দেবীর মুকুট ও নিত্যনতুন সাজের।
মুর্শিদাবাদের ভরতপুর ব্লকের জজান গ্রামের মালাকার পরিবার এখন ব্যস্ত পুজোর সাজ তৈরি করতে। দেবী দশভুজাকে সাজাতে লাগে বিভিন্ন রকমের শোলার কাজ। জজান গ্রামের জর্নাদান মালাকার ও ঝর্না মালাকার এখন দুর্গাপুজো সাজ তৈরি করতে ব্যস্ত। দুর্গাপুজো সময় বিভিন্ন জায়গা থেকে অর্ডার আসে এই শোলা কাজের।
advertisement
আরও পড়ুন: আগে পালিত হত ৭ সেপ্টেম্বর, এখন হয় ৮! কেন আচমকা বদলে যায় সাক্ষরতা দিবস পালনের দিন? জানুন
ডাকের সাজে দেবী মুর্তির সাজে ছোঁয়া দিতে এখন নাওয়া খাওয়া ভুলে কাজে ব্যস্ত শিল্পী জর্নাদান মালাকার। পুজোর সময় এখন চূড়ান্ত প্রস্তুতি চলছে সাজ তৈরি করার জন্য। সাত পুরুষ ধরে এই ডাকের সাজ করে আসছেন পরিবারের সদস্যরা, শুধু মুর্শিদাবাদের কান্দি মহকুমা নয় জেলার বিভিন্ন জায়গাতেই এই তার হাতের তৈরি এই শোলার তৈরি সাজ পাঠানো হয়। তবে কাজের তুলনায় বাজারে মূল্য পাওয়া যায় না, বড্ড আক্ষেপ যদিও বর্তমানে জিনিস দাম বৃদ্ধি কারণে এই কাজে বেশি দাম পাচ্ছেন না ফলে কাজ করেও বেশি লাভবান হচ্ছেন না বলে দাবি।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
তবে এই প্রজন্ম করলেও আগামী যুব সমাজ এই শোলা ডাকের সাজে এগিয়ে আসছেন না বলে আক্ষেপ আরও বেশি। যদিও শুধু দুর্গাপুজো নয় কালীপুজো ও জগদ্ধাত্রী এবং সরস্বতীপুজোতেও এই ডাকের সাজ তৈরি করেন। তবে দুর্গাপুজোর সময় দেবী দশভুজাকে সাজাতে নবরূপ দিতে তাদের ছোয়া যে অনবদ্য, তাই এখন চূড়ান্ত ব্যস্ততা তাদের। প্রতিমার তৈরি সাজের দাম ৫০ টাকা থেকে শুরু করে ৮-১০ হাজার টাকা বা তারও বেশি হয়ে থাকে। তবে কম দামের সাজের বেশি চাহিদা। ফলে চাহিদা থাকে তুঙ্গে।