একদিকে বঙ্গের লালগোলা। ওপারেই আছে বাংলাদেশ। পণ্য পরিষেবার কথা মাথায় রেখেই তৈরি হয় নৌ বন্দর। ৫৮ বছর আগে এপথে বাংলাদেশ-ভারতে পণ্য আনা-নেওয়া বন্ধ হয়। এর পর থেকে পণ্য আনা-নেওয়া হত সড়ক ও রেলপথে। এতে উভয় দেশের পণ্য পরিবহন খরচ বেশি হত। জানা যায়, সুলতানগঞ্জ নৌবন্দরের মাধ্যমে লালগোলা থেকে পণ্য আমদানিতে সময় ও খরচ দুটোই কমবে বলেই আশাবাদী ছিল কেন্দ্রের। এতে দুই দেশের ব্যবসায়ীরা লাভবান হবেন বলেই আশা ছিল অনেকের। কিন্তু বাস্তবে আর চালু হল না এই বন্দর পরিষেবা।
advertisement
সীমান্তবর্তী লালগোলায় শিল্প না হলেও এই বন্দরের উপর তাকিয়ে ছিলেন অনেকেই। বাংলাদেশের রাজশাহী থেকে মুর্শিদাবাদের ধুলিয়ান পর্যন্ত ৭৮ কিলোমিটার একটি নৌপথের অনুমোদন থাকলেও পদ্মার নাব্যতা সংকটের কারণে কার্যকর করা যায়নি। ফলে রুটটি সুলতানগঞ্জ থেকে ময়া নৌবন্দর পর্যন্ত সংক্ষিপ্ত করা হয়। আড়াআড়িভাবে ২০ কিলোমিটার পদ্মা নদী পাড়ি দিয়ে পণ্য আনা-নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। শুরুতে এই নৌপথে ভারত থেকে পাথর, বালি ও বিভিন্ন ধরনের খাদ্যসামগ্রী আনার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। কিন্তু উদ্বোধনের এক বছরের বেশি সময় অতিক্রম হয়ে গেলেও আজও চালু হয়নি। ফলে এলাকার ব্যবসায়ীক উন্নতি ঘটবে বলেও আশা থাকলেও তা বাস্তবের রূপ না পেতে আক্ষেপের সুর সকলের গলায়।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
এলাকার বাসিন্দারা জানিয়েছেন, এই নৌবন্দর চালুর ফলে বিপুলসংখ্যক মানুষের কর্মসংস্থানের সুযোগ ছিল। যদিও গ্রামের বাসিন্দারা আজ অখুশি। কারণ নৌ বন্দর নিয়ে যে আশা ছিল তা আশাহত হয়েছেন সকলেই।