জানা গিয়েছে, আধুনিক কৃষিক্ষেত্রে, শ্রম খরচ কমিয়ে উচ্চ উৎপাদনশীলতা নিশ্চিত করার পাশাপাশি নির্ভুলতা, গতি এবং দক্ষতা গুরুত্বপূর্ণ। ধান চাষিদের জন্য, ধান রোপণ যন্ত্র হল একটি যুগান্তকারী ট্র্যাক্টর যন্ত্র যা বিভিন্ন ধরণের সুবিধা প্রদান করে। যন্ত্রের সাহায্যে ধান রোপণ বর্তমানে জনপ্রিয়তা লাভ করছে, কারণ এটি সময় এবং শ্রম সাশ্রয় করে। বিশেষ করে শ্রমিক সংকট এবং দ্রুত ফসল তোলার জন্য এই পদ্ধতি কৃষকদের মধ্যে বেশ আগ্রহ তৈরি করেছে।
advertisement
আরও পড়ুন: নিজেদের বাড়ি ভেঙে ফেলছেন নিজেরাই, নিয়ে পালাচ্ছেন আসবাবপত্র…! আচমকা কী এমন ঘটল মুর্শিদাবাদে
মুর্শিদাবাদ ছাড়াও বিভিন্ন স্থানে এই পদ্ধতি গ্রহণ করা হচ্ছে এবং কৃষকরা উপকৃত হচ্ছেন। এই পদ্ধতিতে, একটি বিশেষ যন্ত্র ব্যবহার করা হয় যা ‘ট্রান্সপ্লান্টার’ নামে পরিচিত। এই যন্ত্রটি দিয়ে সারিবদ্ধভাবে ধানের চারা রোপণ করা যায়, যা গাছের বৃদ্ধি এবং ফলন বৃদ্ধিতে সহায়তা করে। NICRA প্রকল্পের অধীনে, এই যন্ত্রটি ব্যবহার করে কৃষকদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে এবং তাদের মধ্যে সচেতনতা তৈরি করা হচ্ছে।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
এই পদ্ধতির কিছু সুবিধা হল: উদ্যোক্তারা জানিয়েছেন, যন্ত্র ব্যবহারের ফলে শ্রমিক সংখ্যা কমে যায়, যা শ্রমিক সংকট মোকাবেলা করতে সহায়ক। দ্রুত চারা রোপণ করা যায়, যা কৃষকদের সময় বাঁচায়। এছাড়াও শ্রমিক মজুরি এবং অন্যান্য খরচ কমে যায়। অন্যদিকে সঠিক সারিবদ্ধ রোপণ এবং গাছের ঘনত্ব ভাল থাকার কারণে ফলন বৃদ্ধি পায়।
খড়গ্রাম ব্লক প্রাঙ্গণে রবীন্দ্র ভবনহলে ১৫০ জন কৃষকদের নিয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়া হল। শুধু ধান চাষি নয়, পুলু পোকা থেকে আরম্ভ ব্যবসার কীভাবে তারা বাড়াবে এবং তাল গাছ থেকে কীভাবে তাল গাছের পাতা থেকে সরঞ্জাম বানাবে। এছাড়াও মাছ চাষ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করলেন। উপস্থিত ছিলেন রামকৃষ্ণ মিশন সারগাছির আশ্রমের সেক্রেটারি স্বামী বিশ্বময়ানন্দ জি মহারাজ, খড়গ্রাম ব্লক আধিকারিক মিলনী দাস, জেলা পরিষদের কৃষি কর্মদক্ষ অজিফা বেগম, খড়গ্রাম ব্লক কৃষি অধিকর্তা আমজাদ মন্ডল ছাড়াও বিভিন্ন আধিকারিক বৃন্দ ও কৃষকেরা।
কৌশিক অধিকারী