গত শনিবার স্বামীর স্ত্রীর মধ্যে চরম অশান্তি শুরু হলে স্বামী আবদুল্লা রাকিবার হাত পা বেঁধে আগ্নেয়াস্ত্র দেখিয়ে মাথা ন্যাড়া করে দেয় বলে অভিযোগ । হরিহরপাড়ায় থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন তার স্ত্রী রাকিবা বিবি । যদিও ঘটনার পর পলাতক অভিযুক্ত আবদুল্লা সেখ ।
আরও পড়ুন : কলকাতার মাটির তলায় নিকাশি ব্য়বস্থার হদিশ দিতে হাজির পুরসভার ডিজিটাল ম্যাপ
advertisement
ইসলামপুরের নসিপুর এলাকার রাকিবা বিবির বছর দুয়েক আগে বিয়ে হয় হরিহরপাড়া থানার শলুয়া বিলধারি পাড়া এলাকার বাসিন্দা আবদুল্লা সেখ নামের এক যুবকের সঙ্গে । ভিনরাজ্যে পরিযায়ী শ্রমিকের কাজ করে আবদুল্লা । রাকিবার বাবা মা দু’জনেই দৃষ্টিশক্তিহীন । ভিক্ষাবৃত্তি করে কোনওরকমে সংসার চালান । তবুও মেয়ের বিয়ের সময় সামর্থ্য মতো সোনা আসবাবপত্র-সহ কিছু টাকাও দিয়েছিলেন । অভিযোগ, বিয়ের পর কন্যাসন্তান হওয়ায় স্ত্রী রাকিবা বিবির উপর বাবার বাড়ি থেকে টাকা আনার জন্য চাপ সৃষ্টি করে তার স্বামী আবদুল্লা সেখ। কিন্তু স্বামীর চাহিদামতো টাকা না নিয়ে আসায় সে রাকিবাকে বেধড়ক মারধর করত বলে অভিযোগ । তার পর থেকে বাপের বাড়িতেই ছিল রাকিবা । স্বামী আবদুল্লা সেখের বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক রয়েছে বলেও অভিযোগ । কয়েকদিন আগে রাকিবাকে বাপের বাড়ি থেকে নিয়ে আসে স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকেরা । অভিযোগ, তার পরই শনিবার রাকিবাকে ঘরে বন্ধ করে, হাত পা বেঁধে আগ্নেয়াস্ত্র দেখিয়ে মাথার সব চুল কেটে ন্যাড়া করে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ ।
আরও পড়ুন : এই প্রথম দেশের কোনও পুরসভার উদ্যোগ, কলকাতায় হবে চিকিৎসকদের স্মৃতিসৌধ
নির্যাতিতার মা নাসিরা বিবি বলেন, ‘‘ আমরা ভিক্ষা করে কোনওরকমে পেট চালাই । তাও বিয়ের সময় মেয়েজামাইকে সবকিছু দিয়েছিলাম । এখন জামাই আবদুল্লা ৩ লক্ষ টাকা দাবি করছে । দিতে পারিনি বলে আমার মেয়েকে মারধর করে মাথা ন্যাড়া করে দিয়েছে । আমরা এত টাকা কোথায় পাব? আমি এর বিচার চাই । আমরা আবদুল্লার কঠোর শাস্তি চাই ।’’
নির্যাতিতা রাকিবা বিবি বলেন, ‘‘ আমার স্বামীর বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক রয়েছে জানা সত্ত্বেও আমি সংসার করেছি । কিন্তু মেয়ে হওয়ার পর থেকে আমার উপর অত্যাচার শুরু করে । বাপের বাড়ি থেকে টাকা আনার জন্য চাপ দিতে থাকে । আমাকে খুব মারধর করত বলে আমি বাপের বাড়ি চলে এসেছিলাম । কিন্তু তার পরে আমার স্বামী আর শ্বশুরবাড়ির লোকেরা এসে আমাকে নিয়ে যায় । আমাকে ঘরে বন্ধ করে বেঁধে মাথা ন্যাড়া করে দিয়েছে । আমি লজ্জায় কাউকে মুখ দেখাতে পারছি না । আমি আমার স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকের কঠোর শাস্তি চাই। ’’