স্থানীয় হালদার পাড়ার বাসিন্দা বিক্রম হালদার সীমাকে বিয়ে করতে রাজি হন। এর পর হোমের সমস্ত নিয়মকানুন মেনে ১৫ ডিসেম্বর সীমার বিয়ের দিন ঠিক করা হয়। বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই সানাইয়ের সুর খড়গ্রামের এই হোমে। গোটা হোমে সাজো সাজো রব। ব্যস্ততা তুঙ্গে ছোট থেকে বড় প্রত্যেকের। সেইমত প্যান্ডেল থেকে শুরু করে খাওয়া দাওয়া, সম্প্রদান সমস্ত আয়োজন করা হয়।
advertisement
লাল টুকটুকে বেনারসিতে সেজে ওঠেন সীমা। মালাবদল, শুভদৃষ্টি, সিঁদুরদান-সহ সমস্ত সামাজিক রীতি মেনেই চার হাত এক হয় সীমা ও বিক্রমের। কন্যা সম্প্রদান করেন হোমের দায়িত্বে থাকা মিঠু মণ্ডল। দুপুরে আবার প্যান্ডেলে বসে ফ্রাইডায়েস, মাংস, চাটনি, মিষ্টি খাওয়া দাওয়ার বিশাল আয়োজন। বিডিও বাপি ধর, ওসি সুপ্রিয় রঞ্জন মাঝি, মুর্শিদাবাদ জেলা শিশু সুরক্ষা কমিটির চেয়ারপার্সন সোমা ভৌমিক-সহ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন অন্যান্য আধিকারিক।
আরও পড়ুন : 'বাহন পুজো'! প্রায় ৬ মিলিয়ন ডলারের নতুন হেলিকপ্টার নিয়ে এসে মন্দিরে পুজো দিলেন শিল্পপতি
নবদম্পতিকে সকলে উপহার দিয়ে আশীর্বাদ ও শুভ কামনা জানান। নতুন পরিবার পেয়ে খুশি সীমা। বলেন, " আমি হোমের দিদির কাছে একটা পরিবার পেয়েছিলাম। কিন্তু আমার বিয়ের জন্য দিদিরা এত কিছু করবে জানা ছিল না। নতুন জীবন পেয়ে আমি খুব খুশি।"
আরও পড়ুন : অগ্নিকাণ্ডের পরই মুনাফার লোভে আগন্তুকদের ভিড় ধ্বংসস্তূপের মাঝে মূল্যবানের খোঁজে
ছোট থেকে হোমে মানুষ হয়ে ওঠা সীমাকে পরিবার দিতে পেরে খুশি হোমের দায়িত্বে থাকা মিঠু মণ্ডল। তিনি বলেন, " ৪ বছর আগে সীমা এই হোমে আসেন। ১৮ বছর হতেই ও আমার কাছে একটা পরিবার চান। আর তার পরেই ওর বিয়ের আয়োজন শুরু হয়। নতুন জীবন নতুন পরিবার নিয়ে ও ভালো থাকুক এটাই কামনা করি।"
হোমের আবাসিকের জন্য এই উদ্যোগে খুশি অনুষ্ঠানে উপস্থিত সকলেই। বিডিও বাপি ধর বলেন, " এই হোম কর্তৃপক্ষ অত্যন্ত ভালো উদ্যোগ নিয়েছে। হোমের পক্ষ থেকে এই প্রকার উদ্যোগে আমরা পাশে আছি।"