জানা গিয়েছে, প্রচুর অর্থ বিনিয়োগ করে চাষ শুরু করেছিলেন কৃষকরা। কিন্তু অনিয়মিত আবহাওয়া মাঝে মধ্যে বৃষ্টি, রৌদ্রের তাপ ও অতিরিক্ত গরমের কারণে পটল গাছে ফুল কম আসছে। অন্যদিকে, লঙ্কা গাছের রোগবালাই ও গরমে নষ্ট হয়ে যাওয়ায় চাষিরা বড় ধরনের লোকসানের সম্মুখীন হচ্ছেন। এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে সার ও কীটনাশকের অস্বাভাবিক দাম বৃদ্ধি। ফলে উৎপাদন খরচ বেড়ে গিয়ে ক্ষতির অঙ্ক আরও বাড়ছে।
advertisement
আরও পড়ুন: সাতসকালেই চা বাগানে মর্মান্তিক দুর্ঘটনা, উল্টে গেল শ্রমিকদের গাড়ি! মৃত ৩, আহত বহু
মুর্শিদাবাদের ওই এলাকার চাষিদের দাবি, সরকারি সহায়তা ও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা না নিলে আগামী দিনে তারা সবজি চাষে পুরোপুরি নিরুৎসাহিত হয়ে পড়বেন। কৃষকরা জানিয়েছেন, ধান চাষের পাশাপাশি লাভের আশায় তাঁরা লঙ্কা ও পটল চাষ করেছিলেন। কিন্তু হঠাৎ হওয়া প্রবল ঝড়বৃষ্টিতে লঙ্কার গাছগুলো ভেঙে পড়ে গিয়েছে এবং পটলের বাগানও নষ্ট হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়েছে। চাষের এমন অবস্থা দেখে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন এলাকার কৃষকরা। সরকারি কোনও সাহায্যের আশায় এখন দিন গুনছেন তাঁরা।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
কৃষকদের দাবি, প্রশাসনের তরফে জরুরি ভিত্তিতে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাপ করে যথাযথ ক্ষতিপূরণ দেওয়া হোক। তবে জমিতে গিয়েই মন খারাপ চাষিদের। বিঘার পর বিঘা জমির সবজি মাটির সঙ্গে মিশে গিয়েছে। লঙ্কা ও পটল চাষে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির ছবি ধরা পড়েছে। চাষিরা জানিয়েছেন, লাভের আশায় তারা লঙ্কা ও পটল চাষ করেছিলেন। কিন্তু লাগাতার একটানা প্রবল ঝড়বৃষ্টিতে লঙ্কা গাছ ভেঙে গেছে এবং পটল গাছও মাটিতে লুটিয়ে পড়েছে। কীভাবে ক্ষতিপূরণ হবে, উৎকণ্ঠা মনে দিনযাপন হরিহরপাড়ার সবজি চাষিদের। এর পাশাপাশি এমন ঘটনার কারণে লঙ্কা, পটলের দামও কয়েকগুণ বাড়বে এমনটাই আশঙ্কা করা হচ্ছে।