বীরভূম জেলার লাভপুর থানার শীতলগ্রাম থেকে মুর্শিদাবাদ জেলার বিভিন্ন জায়গায় বহুরূপীরা তাঁরা বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে বেরিয়ে নানারকম ছড়া বলে মানুষের মনোরঞ্জন দিচ্ছেন। কেউ পেশায় চাষি, কেউ বা দিনমজুর। কেউ সেজেছেন টুম্পা সোনা, কেউ বা রক্ষস ও রাক্ষসী। কিছুটা অর্থ উপার্জন করতেই গ্রামের প্রত্যন্ত এলাকায় ছুটছেন বহুরূপীরা।
ওঁরা রং মাখেন। দুনিয়া দেখে কত রঙ্গ। রং না মাখলে পেট চলবে না। তাই রঙের সঙ্গে গ্রামের বন্ধুত্ব অনেকদিনের। বর্তমানে সনাতন বহুরূপী সাজের পাশাপাশি এসেছে নানা পৌরাণিক, আধুনিক ও সামাজিক অনুষঙ্গও। ছেলেদের পাশাপাশি মেয়েরাও এগিয়ে এসেছেন এই শিল্পকে বাঁচিয়ে রাখতে।
advertisement
বহুরূপী খুব প্রাচীন জীবিকা। তবে কত প্রাচীন তা কেউ বলতে পারে না। অবশ্যই বিচিত্র জীবিকা। ইতিহাসবিদেরা বলেন, আদিম মানুষরা পশু শিকারের সময় নিজেদের দেহ মৃত পশুর চামড়া, নখ, দাঁত ইত্যাদি দিয়ে ঢেকে নিত। তাতে পশুরা তাদের মানুষ বলে চিনতে পারত না। এই ঘটনাকে আমরা ‘ছদ্মবেশ’ বলতে পারি।
আরও পড়ুন : অপহরণ থেকে মুক্তি পেয়ে পরিযায়ী শ্রমিকরা ফিরলেন ঘরে! জানালেন ভয়াবহ অভিজ্ঞতা
আমাদের সারাদেশেই ছড়িয়ে আছেন এই বহুরূপীরা। এই রাজ্যের বর্ধমান, বীরভূম, বাঁকুড়া, হুগলি জেলায় আছেন বেশ কয়েকজন। তবে বীরভূম থেকে মুর্শিদাবাদের খড়গ্রাম, কান্দি, রঘুনাথগঞ্জ-সহ বিভিন্ন গ্রামে গিয়ে তাঁরা কলাকৌশল দেখান। কোনওরকমে টিকিয়ে রেখেছেন তাদের পেশাকে। একটু হলেও গ্রামে গ্রামে ঘুরে ঘুরে মানুষকে মনোরঞ্জন দেন। যা অর্থ পান তা দিয়েই চলে তাঁদের সংসার। তবে বর্তমানে অনেকেই মুখ ফিরিয়েছেন। সেই আক্ষেপের সুর তাঁদের গলায়।