TRENDING:

বড়মা, চাতরবুড়ি, ষষ্ঠী..! একই রাজপরিবারে একসঙ্গে ১৩টি কালীপুজো! কিন্তু কেন? এড়োয়ালি গ্রামের পুজোর পরতে পরতে জড়িয়ে ইতিহাস

Last Updated:

Eroali Village Kali Puja: জানা যাচ্ছে, আজ থেকে প্রায় চারশ বছর আগে রাজা রামজীবন রায় এই কালীপুজোর প্রতিষ্ঠা করেন। তাঁর রাজত্বকালে একটি রাজবাড়িতে একটিই কালীপুজো হত।

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
মুর্শিদাবাদ, কৌশিক অধিকারীঃ মুর্শিদাবাদ জেলার খড়গ্রাম থানার বর্ধিষ্ণু গ্রাম এড়োয়ালির কালীপুজোকে কেন্দ্র করে উৎসবে মেতে ওঠেন মানুষ। একই রাজপরিবারে ১৩টি কালীপুজো নিয়ে মত্ত থাকে গোটা গ্রাম। খড়গ্রাম থানার এড়োয়ালি রাজপরিবারের কালীপুজোয় সবাই যেন এক রাতের রাজা!
advertisement

মুর্শিদাবাদের এড়োয়ালি গ্রামের পুজোর বিশেষত্ব হল এখানে একই রাজপরিবারে ১৩টি কালীপুজো হয়। সেই নিয়ে মত্ত থাকে পুরো গ্রাম। জানা যাচ্ছে, আজ থেকে প্রায় চারশ বছর আগে রাজা রামজীবন রায় এই কালীপুজোর প্রতিষ্ঠা করেন। তাঁর রাজত্বকালে একটি রাজবাড়িতে একটিই কালীপুজো হত। আলোয় ঝলমল করত গোটা রাজবাড়ি। সকল ধর্মের মানুষের নিমন্ত্রণ থাকত। হাতেগোনা কয়েকদিনের অপেক্ষা শেষে সেই মাহেন্দ্রক্ষণ। কয়েক শতাব্দী প্রাচীন খড়গ্রাম ব্লকের এড়োয়ালি গ্রামে লক্ষ লক্ষ মানুষের ভিড় হবে। জাতি, ধর্ম নির্বিশেষে সবাই আনন্দে মেতে উঠবেন।

advertisement

আরও পড়ুনঃ বাড়ি থেকে বেরিয়ে নিখোঁজ! বিহারের ব্যক্তিকে বাড়ি ফেরালেন মালদহের ৩ বন্ধু, ডিজিটাল পদ্ধতিতেই বাজিমাত

এক পরিবারের সদস্য জানান, কথিত আছে, বাংলায় বর্গী হানা সেই সময় একটা নিয়ম হয়ে দাঁড়িয়েছিল। রাজা রামজীবন রায় ছিলেন বীরভূম জেলার অন্তর্গত ঢেকা লোকপাড়ার রাজা। এড়োয়ালি তখন বীরভূম জেলায়। বর্গী হানা থেকে প্রজাদের রক্ষা করতে তিনি এড়োয়ালি গ্ৰামে চলে এলেন। তখন মকদম হাজি আলী নামে এক জমিদার রাজাকে পাকাপাকিভাবেই থেকে যেতে বলেন। এদিকে সেই সময় বা তার আগে থেকেই ডাকাতরা ডাকাতি করতে যাওয়ার আগে মা কালীর পুজো করে যেত। ডাকাতদের পূজিতা ছিলেন ডাকাত কালী। রাজা এসে প্রথম সেই কালী মূর্তির পুজো শুরু করেন। আজ তাঁকে আমরা ধর্মবুড়ি নামে পুজো করি।

advertisement

View More

রাজা রামজীবন-ও ছিলেন প্রজাবৎসল। প্রথমে এই রাজপরিবার ‘রায় রাজপরিবার’ নামে পরিচিত থাকলেও রাজা রামজীবন রায়ের বংশধরেরা বিভিন্ন প্রজাবৎসল কাজ করার জন্য ব্রিটিশদের থেকে ‘চৌধুরী’ উপাধি লাভ করেন। সেই থেকেই এই রাজপরিবার ‘রায়চৌধুরী রাজপরিবার’ নামে পরিচত।

আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন

advertisement

সেরা ভিডিও

আরও দেখুন
দেওয়াল জুড়ে রয়েছে শুধুই ইতিহাসের গন্ধ, বিপ্লবী ক্ষুদিরাম বসুর বেড়ে ওঠা 'এই' বাড়িতেই! জানুন
আরও দেখুন

রাজা রামজীবনের তিনজন প্রপৌত্র ছিল। তাঁরা হলেন, রাজা দেবদত্ত রায়চৌধুরী, রাজা ইন্দ্রমণি রায়চৌধুরী এবং রাজা শ্যামসুন্দর রায়চৌধুরী, এদের রাজবংশ যথাক্রমে বড়পাঁচানি, ছোটপাঁচানি এবং ছয়ানি রাজপরিবার নামে পরিচিত। বড়পাঁচানিতে পাঁচটি কালী- ধর্ম বা ষষ্ঠী, বেল, কুল, টুংগী ও শ্যামরূপী। ছয়ানি রাজপরিবারের চারটি কালী- বড়মা, মঠ, নিম ও চাতরবুড়ি এবং ছোটপাঁচানি রাজপরিবারে চারটি কালী- ধর্ম বা ষষ্ঠী, মোল, আমড়া ও বেল। এই বেল কালীটিতে শুধু ঘট পুজো করা হয়। এখানে ধর্মকালী ও ষষ্ঠীকালীকে বড়পাঁচানি ও  ছোটপাঁচানি রাজপরিবার পালা করে চালায়। বেশিরভাগ কালীকেই ‘বুড়ি’ বলেই ডাকা হয়।

advertisement

বাংলা খবর/ খবর/দক্ষিণবঙ্গ/
বড়মা, চাতরবুড়ি, ষষ্ঠী..! একই রাজপরিবারে একসঙ্গে ১৩টি কালীপুজো! কিন্তু কেন? এড়োয়ালি গ্রামের পুজোর পরতে পরতে জড়িয়ে ইতিহাস
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল