দীর্ঘ দিনের দাবি মেনে মুর্শিদাবাদে বিড়ি শ্রমিক ইউনিয়ন এবং বিড়ি মার্চেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের আলোচনার পর মালদহ, মুর্শিদাবাদ, বীরভূম ,পুরুলিয়া, উত্তর ও দক্ষিণ দিনাজপুর এবং ঝাড়খণ্ডের পাকুড় জেলার বিড়ি শ্রমিকদের মজুরি ১৭৮ টাকা থেকে বৃদ্ধি পেয়ে হয়েছে ২০২ টাকা।
আরও পড়ুনঃ শিক্ষকদের দ্বন্দ্ব, স্কুলে ১৫ দিন ধরে বন্ধ মিড ডে মিল! খাবার না পেয়ে স্কুলে অনুপস্থিত পড়ুয়ারা
advertisement
কিন্তু অভিযোগ, মুর্শিদাবাদ জেলার বেশ কিছু এলাকায় বর্ধিত এই মজুরি বিড়ি শ্রমিকরা হাতে পাচ্ছেন না। মুন্সিদের জন্য টাকা পাচ্ছেন না। এদিকে সমস্ত জিনিসপত্রের দাম বাড়ায় সংসার চালাতে নাভিশ্বাস উঠছে শ্রমিকদের।
রঘুনাথগঞ্জের মিঠিপুর, রামেশ্বরপুর-সহ একাধিক এলাকা বিড়ি শ্রমিক অধ্যুষিত। গত তিন বছর ধরে তারা এক হাজার বিড়ি তৈরির জন্য ১৭৮ টাকা মজুরি পাচ্ছিলেন। নতুন চুক্তির ভিত্তিতে ২০২৪ সালে নভেম্বর মাসের ১ তারিখ থেকে এক হাজার বিড়ি তৈরির জন্য তাদের ২০২ টাকা মজুরি পাওয়ার কথা ছিল। এক বছর হয়ে গেলেও এখন তারা এক হাজার বিড়ি জমা করলে একাধিক ‘মুন্সি’ লগবুকে এক হাজারের পরিবর্তে ৯০০ বিড়ি জমা নথিভুক্ত করছেন এবং বিড়ি শ্রমিকদেরকে ১৮৬-১৯৮ টাকা পর্যন্ত মজুরি দিচ্ছেন।
তাঁদের আরও অভিযোগ, জঙ্গিপুর মহকুমার বেশিরভাগ মুন্সি, বিড়ি শ্রমিকদের কাছ থেকে চার ‘মুঠা’ প্রায় ১০০ বিড়ি অতিরিক্ত হিসেবে কেটে নিচ্ছেন। এর পাশাপাশি ‘ছাঁট’ হিসেবেও মুন্সিরা প্রচুর বিড়ি বাদ দিতে শুরু করেছেন।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
বিড়ি শ্রমিক রুবিনা বিবির অভিযোগ, জঙ্গিপুর মহকুমায় প্রায় ১০-১১ লক্ষ বিড়ি শ্রমিক রয়েছে। শ্রমিকদের কাছ থেকে মুন্সিরা বিড়ি সংগ্রহ করে যখন মালিকদের কাছে জমা করতে যান সেখানেও মুন্সিদের কাছ থেকে অতিরিক্ত বিড়ি নেওয়া হয়। এর ফলে মুন্সিরা প্রথম থেকে বিড়ি শ্রমিকদের কাছ থেকে অতিরিক্ত বিড়ি সংগ্রহ করে রাখছেন। আমরা এখনও সঠিক মূল্য পাইনা। বিড়ি বেঁধেই চলে আমাদের সংসার। আদৌ কবে আমরা ন্যার্য মূল্য পাব তা জানি না। তবে সরকারি নির্দেশ অনুযায়ী যে টাকা বরাদ্দ সেটা পেলেই উপকৃত হব।
বিড়ি মালিক জাকির হোসেন যদিও একাধিকবার বিড়ি শ্রমিকদের পরামর্শ দিয়েছেন, প্রাপ্য মজুরি না পেলে সরাসরি থানায় গিয়ে পুলিশের কাছে অভিযোগ জানাতে।





