ফের চোখ রাঙাচ্ছে করোনা। ফের হুহু করে বাড়ছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। সঙ্গে ওমিক্রনের দাপট। করোনার তৃতীয় ঢেউয়ের আশঙ্কায় রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর। ইতিমধ্যেই বেশকিছু ক্ষেত্রে বিধিনিষেধ জারি করেছে রাজ্য সরকার। বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে স্কুল-কলেজ। করোনার তৃতীয় ঢেউ সঙ্গে ওমিক্রন মোকাবিলায় আগাম প্রস্তুতি নিতে মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজের করোনা হাসপাতাল পরিদর্শন করলেন জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক ও জেলাশাসক।
advertisement
আরও পড়ুন: মালদহের প্রশাসনিক দফতরে উদ্বেগ, করোনার কবলে জেলাশাসক-সহ একাধিক কর্মী
মঙ্গলবার বহরমপুরের মাতৃসদনের সমস্ত পরিকাঠামো, অক্সিজেন প্ল্যান্ট-সহ অন্যান্য বিভাগগুলি পরিদর্শন করেন তাঁরা। উপস্থিত ছিলেন জেলাশাসক শরদ কুমার দ্বিবেদী, এমএসভিপি অমিও কুমার বেরা, জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক সন্দীপ সান্ন্যাল-সহ অন্যান্য স্বাস্থ্য আধিকারিকেরা। এম এস ভি পি অমিও কুমার বেরা বলেন, করোনার তৃতীয় ঢেউয়ের মোকাবিলায় জেলা স্বাস্থ্য দফতর সর্বতোভাবে প্রস্তুত। তবে সংক্রমন বাড়তে শুরু করলে আগাম কী কী প্রস্তুতি নেওয়া হবে, সেই সমস্ত বিষয় নিয়ে এদিন আলোচনা করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: কোভিড বিধির জের, পাহাড় ছাড়ছেন পর্যটকরা! পর্যটন শিল্পে ফের কোপ, মাথায় হাত পাহাড়বাসীর
সেইসঙ্গে প্রয়োজনে সদর হাসপাতালটিকেও কীভাবে কাজে লাগানো যেতে পারে, তা নিয়েও আলোচনা চলছে। জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক সন্দীপ সান্ন্যাল বলেন, করোনা মোকাবিলায় আগাম সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। তার প্রস্তুতিতেই এদিন করোনা হাসপাতাল পরিদর্শন করা হয়েছে। মাতৃসদনে হাসপাতালের আরো পরিকাঠামোগত উন্নয়নে খতিয়ে দেখা হল। সেইসঙ্গে করোনা আক্রান্ত রোগীদের রাখার জন্য সদর হাসপাতালটি ব্যবহারে সমস্ত পরিকাঠামো খতিয়ে দেখা হয়। স্বাস্থ্য দফতরের পাশাপাশি তৎপর জেলা পুলিশ প্রশাসনও। করোনা মোকাবিলায় কড়া হাতে মাঠে নেমেছে জেলা পুলিশ। মঙ্গলবার বহরমপুর, ভরতপুর, সালার, রানীনগর, বেলডাঙ্গা-সহ জেলার বিভিন্ন প্রান্তে চলে পুলিশের ধরপাকড়। সেইসঙ্গে বাজারগুলিতেও অভিযান চালায় পুলিশ। মাস্ক ব্যবহার না করায় আটক করা হয় একাধিককে। সচেতনার প্রচারে কোথাও র্যালি করে, আবার কোথাও-কোথাও মাইকিং করে প্রচার চালায় পুলিশ প্রশাসন।