মুর্শিদাবাদ জেলার ভরতপুর ব্লকের অন্তর্গত সেয়লাই গ্রাম। আর এই গ্রামে একমাত্র ভরসা নৌকাতে করে যাতায়াত। কুয়ে নদীর উপর অবস্থিত দুই প্রান্তে দুই গ্রাম। সিয়ালাই গ্রামে প্রায় ৪০০ টি পরিবারের বসবাস। কিন্তু নেই কোনও যাতায়াতের পথ। বাড়ির অসুস্থ হোক বা স্কুল-কলেজে ভর্তি এই নদী পেরিয়েই যেতে হয় সেই গন্তব্য স্থলে। ফলে ভরসা একটিমাত্র নৌকা।
advertisement
আরও পড়ুন: হাতি তাড়াতে সুপারি বাগানে হচ্ছে এই ফলের চাষ! হবে উপরি লাভ, জানেন কী সেই ফল
মুর্শিদাবাদ জেলার ভরতপুর ব্লকে অন্তর্গত আলুগ্রাম গ্রাম পঞ্চায়েত। আর এই পঞ্চায়েতের অধীনে একদিকে হচ্ছে মদনপুর ওপারে নদী পেরিয়ে অবস্থিত সেয়ালাই গ্রাম। এই গ্রামে ৪০০ টি পরিবারের বসবাস হলেও বর্ষার সময় প্রবল সমস্যায় পড়তে হয়। যার কারণ, গ্রামে ভরসা একমাত্র নৌকা। গ্রামের বাসিন্দাদের যাতায়াত করার জন্য নৌকাতে মাঝি কোনও টাকা না নিলেও বছরে গ্রাম থেকে ঘুরে চাল, ডাল এবং অর্থ সংগ্রহ করে থাকেন। আর তা দিয়েই চলে জীবনের রুটি রোজগার ওই নৌকার মাঝির।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
স্বাধীনতার পর থেকে এখনও পর্যন্ত নদী পারাপার করেই এই গ্রামগুলোতে যেতে হয় সাধারণ মানুষকে। গ্রামের বাসিন্দাদের অভিযোগ, ভোট আসলেই রাজনৈতিক দলের নেতৃত্বরা সেতু নির্মাণের আশ্বাস দেয়। কিন্তু ভোট পার হলেই আর কাউকে দেখা যায় না এলাকায়, ফলে বছরের পর বছর বর্তমানে নৌকা করেই নদী পারাপার করতে হয় এই গ্রামের বাচ্চা থেকে বড় সকলকে। এছাড়া বর্ষার সময় মাঝে মাঝে নৌকা ডুবে সাধারণ মানুষকে দুর্ভোগের মুখেও পড়তে হয়। যদিও গ্রামবাসীদের দাবি, একটিমাত্র ছোট্ট কালভার্ট তৈরি করে দেওয়া হোক। তাহলে যাতায়াত করতে সুবিধা হবে গ্রামের বাসিন্দাদের।
কৌশিক অধিকারী