তার পর বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুঁজি হয়েছে। কিন্তু হদিশ পাওয়া যায়নি লালনের। তার পরও হাল ছাড়েননি লালনের পরিবার। পরবর্তীকালে সন্দেহের দানা বাঁধে তারই বৌদি হাসিনা বিবিকে ঘিরে। পরিবারের লোকেরা মহকুমা পুলিশ আধিকারিক ও পুলিশ সুপারের দ্বারস্থ হয়ে সমস্ত অভিযোগ জানান আবারও। এরপরেই ডোমকল থানার পুলিশ বৌদি হাসিনা বিবি ও আরও এক অভিযুক্ত সানাউল্লা সেখ ওরফে বাজেশকে গ্রেফতার করে। জেরায় তারা খুনের কথা স্বীকার করেছে বলে জানা গিয়েছে।
advertisement
আরও পড়ুন : প্রেমিকাকে শ্বাসরোধ করে খুনের পর দিনই বাড়িতে গিয়ে পরিবারের পছন্দ করা তরুণীকে বিয়ে করে সাহিল
পুলিশি জেরায় তারা স্বীকার করে যে লালনকে খুন করে প্রথমে শৌচালয়ের ভিতরে থাকা সেপটিক ট্যাঙ্কে ফেলে দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু বছর দুয়েক আগে ঝড়ে গাছ পড়ে সেই শৌচালয় ভেঙে যায়। তার পর শৌচাগারের ভিতরে থাকা পচা গলা মৃতদেহটি পাশের লেবু বাগানতে পুঁতে রাখে। নিখোঁজ এই যুবকের সন্ধানে মঙ্গলবার সকাল থেকে তল্লাশি চালাচ্ছে ডোমকল থানার পুলিশ। আর এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে যথেষ্ট চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়।
আরও পড়ুন : ফের নৃশংস নারীহত্যা দিল্লিতে! প্রেমিকার নিথর দেহ উদ্ধার প্রেমিকের ধাবার ফ্রিজে
অভিযুক্ত দুজনকেই সাতদিনের হেফাজতে নিয়েছে পুলিশ। মৃতের বোন পারভিনা খাতুন বলেন, " ওই হাসিনা বিবিই আমার দাদাকে খুন করেছে। আমরা চাই পুলিশ ওদের কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা করুক।" মৃতের মা ফিরোজা বিবি বলেন, " আমার ছেলের সঙ্গে হাসিনা বিবির বিবাহ বহিভূর্ত সম্পর্ক ছিল। আমি জানতাম ওই আমার ছেলেকে খুন করেছে। কিন্তু পুলিশ প্রথমে সঠিক তদন্ত করেনি। পরে পুলিশ অফিসার বদলি হয়ে এসে তদন্ত করে অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার করেছে। পুলিশ মৃতদেহ খুঁজছে। আমি চাই আমার ছেলের খুনিদের পুলিশ কঠোর শাস্তি দিক।"
