এদিন দুপুরে এই বেআইনি নির্মাণের খবর পেয়ে বর্ধমান পৌরসভার চেয়ারম্যান পরেশ চন্দ্র সরকার আধিকারিকদের নিয়ে অভিযানে যান। ছিল বর্ধমান থানার পুলিশও। তবে তার আগেই চম্পট দেয় নির্মাণ কাজে যুক্তরা। সবকিছু খতিয়ে দেখার পর পুর প্রধান পরেশ চন্দ্র সরকার জানান, বেআইনিভাবে নির্মাণ কাজ চলছিল। এখনই কাজ বন্ধ করে দেওয়া হল। নির্মাণ কাজে যুক্তদের নামে এফআইআর করা হবে।
advertisement
তিনি বলেন, জি টি রোডের ওপর এতবড় বিল্ডিং নির্মাণের অনুমোদন পুরসভা কর্তৃপক্ষ দিতে পারে না। এই বিল্ডিং তৈরিতে নানাভাবে আইন ভঙ্গ করা হয়েছে। আমরা এই বাড়ির মালিককে ডেকে পাঠাচ্ছি। সাতদিনের মধ্যে পুরসভায় হাজির হয়ে তাদের নথিপত্র দেখাতে বলা হচ্ছে। তা না হলে এফআইআর-সহ আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আরও পড়ুন-‘বাড়িতে কথা বললেই সব শেষ!’ রাত ১.৪২ মিনিটে…, সবচেয়ে গোপন কথা ফাঁস করলেন অমিতাভ, তারপরই যা ঘটে গেল…
এদিন দুপুরে কালীবাজার মোড় এলাকায় নির্মীয়মাণ ওই বাড়ির কাছে যান বর্ধমান পৌরসভার চেয়ারম্যান পরেশ চন্দ্র সরকার ও পুরসভার আধিকারিকরা। তাঁরা বিল্ডিংয়ের সব কিছু খতিয়ে দেখেন। পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, আটতলা বিল্ডিং নির্মাণের কোনও রকম অনুমতি না নিয়েই এই কাজ চলছিল। অন্তত দু থেকে তিন তলা প্ল্যানের বাইরে নির্মাণ হয়েছে। কোনও রকম অনুমোদন ছাড়াই বেআইনিভাবে আন্ডার গ্রাউন্ড তৈরি করা হয়েছে। এত বড় বিল্ডিং তৈরি করার ক্ষেত্রে চার পাশে যে পরিমাণ জায়গা ছাড় দেওয়ার কথা এক্ষেত্রে তা দেওয়া হয়নি বলেও অভিযোগ। সব কিছু খতিয়ে দেখে পুর প্রধান বলেন, শহরে একাধিক এলাকায় বেআইনি নির্মাণের অভিযোগ পেয়েছি। প্রতিটি ক্ষেত্রেই সরেজমিনে খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। এক্ষেত্রেও বাড়ির মালিক ছাড় পাবেন না।