ব্যান্ডেল জিটি রোড থেকে ব্যান্ডেল চার্চ, সামনে গঙ্গায় গিয়ে মিশেছে হুগলি চুঁচুড়া শহরের উত্তরদিক এবং ব্যান্ডেলের নিকাশি মুল পথ রসভরা খাল।
সেই খালে আবর্জনা ফেলায় প্রায় বন্ধ হয়েছিল নিকাশি। এতটাই পুরু স্তর জমেছিল খালের উপর দিয়ে হেঁটে চলে যাওয়া যেত। গরু ছাগল চড়ত অনায়াসে।মানুষের দাবি ছিল।পুরসভার চেষ্টা ছিল সেই খাল সংস্কার করতে হবে। নয়ত ব্যান্ডেল পঞ্চায়েতের একটা বড় অংশ চুঁচুড়া পুরসভার চার পাঁচ ছয় নম্বর ওয়ার্ডের বিস্তীর্ণ এলাকা বর্ষায় জলে ডুবে থাকা থেকে রক্ষা করা যাবে না।
advertisement
কেএমডিএর কাছে আবেদন করে পুরসভা। সেই মত সাত লক্ষ টাকা বরাদ্দ হয়। গত পঁচিশ দিন ধরে রসভরা খাল সংস্কারের কাজ চলে। উপরের আবর্জনার স্তুপ সরানোর পাশাপাশি দেড় ফুট পলি কেটে তোলা হয়। যার ফলে নদীর স্রোতের মত জল প্রবাহিত হতে শুরু করে। এলাকার বাসিন্দারা খুশি। বর্ষার আগে খাল সংস্কার হয়ে যাওয়ায়।একটু বৃষ্টিতেই বাড়ি ঘরে জল ঢুকত। মশা মাছির উপদ্রব হত। রাস্তায় জল নামতে অনেক সময় লাগত। এখন আর সেটা হবে না।
চুঁচুড়া পুরসভার স্বাস্থ্য দফতরের পুর পারিষদ জয়দেব অধিকারী জানান, এলাকার মানুষের দীর্ঘ দিনের একটা দাবি ছিল, পুরসভাও ওই এলাকার নিকাশি নিয়ে চিন্তায় ছিল। কেএমডিএ-র সহযোগিতায় সেই চিন্তা আপাতত দূর হল। তবে আগামী দিনে ওই খাল থেকে আরও কিছুটা পলি তুলতে হবে।পাশাপাশি এলাকার মানুষকেও সচেতন থাকতে হবে। লেপ, তোষক, বালিশ, বাড়ির যা কিছু উচ্ছিষ্ট সবই খালের মধ্যে ফেলা বা নিকাশি ব্যবস্থাকে বন্ধ করে দেওয়া এটা থেকে বিরত থাকতে হবে।
শহরের আরও কয়েকটি জায়গায় নিকাশি ব্যবস্থার কাজ করা হয়েছে। তবে ১৭ নম্বর ওয়ার্ড এবং ১৬ নম্বর ওয়ার্ড ও আট নম্বর ওয়ার্ডের নিচু এলাকা গুলোর নিকাশি ব্যবস্থা ঠিক করতে হলে বড় পরিকল্পনা নিতে হবে। আপাতত বৃষ্টিতে জল জমলে সেই জল নিকাশির জন্য পুরসভা পাম্পের ব্যবস্থা করেছে। তাই বর্ষার আগে শহরের একটা বিস্তীর্ণ এলাকায় জল জমা থেকে মানুষ মুক্তি পাবে বলে আশা করা যায়।






