২০টি ওয়ার্ড নিয়ে গঠিত তাম্রলিপ্ত পুরসভা। এলাকায় একাধিক নার্সিংহোম, ব্যাঙ্ক ও বাণিজ্যিক অফিস রয়েছে। অভিযোগ, ২০১৯ সাল থেকে এদের মধ্যে অনেকেই ট্যাক্স পরিশোধ করেনি। এমনকি পুরসভার এক কাউন্সিলরও তার নার্সিংহোমের বকেয়া কর দীর্ঘদিন ধরে দেননি। এই বিষয়টি সামনে আনেন কাউন্সিলর তথা তৃণমূল যুব কংগ্রেসের রাজ্য সহ-সভাপতি পার্থসারথি মাইতি। তিনি অভিযোগ করেন, সাধারণ মানুষ সময়মত ট্যাক্স দিলেও প্রভাবশালীরা তা বকেয়া রেখেছেন।
advertisement
অবশেষে বকেয়া আদায়ে সক্রিয় হয়েছে তাম্রলিপ্ত পুরসভা। এ প্রসঙ্গে তাম্রলিপ্ত পুরসভার চেয়ারম্যান দীপেন্দ্রনারায়ণ রায় জানান, ‘চারটি নার্সিংহোমকে ইতিমধ্যেই নোটিশ পাঠান হয়েছে। পাশাপাশি ব্যাঙ্ক, অফিস ও অন্য বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানকেও নোটিশ দেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে। আগামী দিনের ট্যাক্স বাকি রাখা প্রতিটি প্রতিষ্ঠানে নোটিশ পাঠান হবে। সময়ের মধ্যে ট্যাক্স না মেটালে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
সরকারি প্রতিষ্ঠান থেকে বেসরকারি বিভিন্ন নার্সিং হোমের হোল্ডিং ট্যাক্স বাকি রয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে তমলুক পৌরসভার রাজস্ব বাকি প্রায় দুই কোটি টাকা। বিষয়টি প্রথম নজরে আনেন তমলুক পুরসভার এক কাউন্সিলর। অবশেষে ট্যাক্স আদায়ের আইনি প্রক্রিয়া শুরু হওয়ায় স্বস্তি মিলল।