তাম্রলিপ্ত পৌরসভার জন্য জল প্রকল্পের অনুমোদন দেয় রাজ্য সরকার।আম্রুত প্রকল্পের মাধ্যমে শহরের প্রতিটি এলাকায় পানীয় জল সরবরাহ করা হবে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ভার্চুয়ালি শিলান্যাস করেছিল এই জল প্রকল্পের। এবার সেই কাজ করতে গেলে ঠিকাদারি সংস্থার কর্মীদের বাধা দেওয়ার অভিযোগ।পৌরসভা সূত্রে জানা যায়, তাম্রলিপ্ত পৌরসভার প্রতিটি ওয়ার্ডে আম্রুত প্রকল্পের মাধ্যমে পানীয় জল সরবরাহ করার জন্য ১০৭ কোটি টাকা বরাদ্দ হয়েছে। ২০২৪ সালে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ভার্চুয়ালি শিলান্যাস করেছিলেন। সেইমতো নন্দকুমারের ইচ্ছাপুরে রূপনারায়ণের নদী থেকে জল তোলা হওয়ার পরিকল্পনা থাকলেও পরে মহিষাদল ব্লকের বাড় অমৃতবেড়িয়া এলাকায় জল তোলার সিদ্ধান্ত হয়। আন্তঃদেশীয় জলপথ বিভাগ থেকে নেওয়া হয় এনওসি।
advertisement
এলাকা থেকে জল তুলে তমলুক শহরের ১৮ নম্বর ওয়ার্ডের দক্ষিণ চড়া শঙ্করআড়া এলাকায় ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্টে আনা হবে। সেখানে জল পরিস্রুত করার পর পাইপলাইনের মাধ্যমে শহরের বিভিন্ন ওয়ার্ডে রিজার্ভারে যাবে। স্বাভাবিকভাবেই কাজের ওয়ার্ক অর্ডার দেওয়ার পরই ঠিকাদার সংস্থার কর্মীরা মহিষাদলের বাড় অমৃতবেরিয়ায় কাজের জন্য পৌঁছে যায়। কিন্তু এলাকার কয়েকজন তাদের কাজে বাধা দেন ও মারধর করেন। এই সমস্যা চরম আকার ধারণ করলে ঠিকাদার সংস্থার কর্মকর্তারা পৌরসভায় এসে বিষয়টি চেয়ারম্যানকে জানান এবং সমস্যার সমাধান না হলে ওই এলাকায় জল তোলার কাজ করা যাবে না বলে জানিয়ে দেন কর্মীরা।
আরও পড়ুন-ঘনিয়ে আসছে ভয়ঙ্কর বিপর্যয়…! ৮ রাজ্য কাঁপবে তুমুল ভারী ঝড়-বৃষ্টিতে! ধুলোঝড়ের তাণ্ডব, কী হবে বাংলায়? জানিয়ে দিল IMD
তাম্রলিপ্ত পৌরসভার চেয়ারম্যান দিপেন্দ্র নারায়ণ রায় জানিয়েছেন, ‘ইনটেক পয়েন্ট হিসেবে নন্দকুমারের ইছাপুরের নাম থাকলেও পরে সেটা মহিষাদলের বাড় অমৃতবেড়িয়া হয়েছে। আন্তঃদেশীয় জলপথ বিভাগ সেইমতো এনওসি দিয়েছে। সরকারি প্রকল্পের কাজে কেন বাধা দিয়েছেন বুঝতে পারছি না। আশা রাখছি দ্রুত সমস্যার সমাধান করে কাজ শুরু হবে। প্রশাসন ও দলীয় স্তরে আলোচনা চলছে। বাধা দানকারি ব্যক্তির উপর আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।’ জল প্রকল্পের ইনটেক পয়েন্টের কাজ শুরু মুখে স্থানীয় বাসিন্দাদের বাধা কাজ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় কিছুটা চিন্তিত পৌর প্রশাসন।
সৈকত শী