এরপর রমনাবাগান থেকে ঘুরে সেদিনই চলে যেতে পারেন আউশগ্রামে। আউশগ্রামের আদুরিয়া জঙ্গলে। পূর্ব বর্ধমানের আউশগ্রাম ২ নম্বর ব্লকের আকর্ষণীয় একটি জায়গা হল আদুরিয়া জঙ্গল। স্থানীয় ও বনদফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, কয়েক বছর আগে কাঁকসার জঙ্গলে, দেউলে পরীক্ষামূলক ভাবে কয়েকটি ময়ূর ছেড়েছিল বনদফতর। পরবর্তীতে উপযুক্ত পরিবেশ পেয়ে সেই ময়ূর বংশবিস্তার করেই আশেপাশের জঙ্গলে ছড়িয়ে পড়েছে। আর সেই মতো আদুরিয়া জঙ্গলেও স্থানীয় বাসিন্দারা ময়ূর দেখতে পেয়েছেন বলে জানাচ্ছেন। বিভিন্ন সময় ঝাঁকে ঝাঁকে ময়ূর দেখা যাচ্ছে। এই শীতের মরশুমে ময়ূর দেখার জন্য পর্যটকরাও ভিড় জমাচ্ছেন এই জায়গায়। আদুরিয়া জঙ্গল ঘুরে সেই দিন বিশ্রাম নিতে পারেন কাছেই ভালকি মাচানের অরণ্য সুন্দরী রিসর্ট অথবা গুসকরা শহরের কাছে কোনও হোটেলে।
advertisement
এরপর পরেরদিন সকাল সকাল চলে যেতে হবে পূর্বস্থলী। পূর্বস্থলীর পৌঁছে তারপর যেতে হবে চুপি পাখিরালয়ে। পূর্ব বর্ধমান জেলা তথা রাজ্যের অন্যতম জনপ্রিয় পর্যটনকেন্দ্র এই জায়গা। বিদেশি পর্যটকরাও ঘুরতে আসেন বর্ধমানের এই জায়গায়। চুপির পাখিরালয়ে গেলেই দেখতে পাবেন একাধিক পরিযায়ী পাখি। এই পাখি দেখলে মুগ্ধ হবে মন। পাখিদের ছবি তুলতে এবং পাখি দেখার জন্য শীতের মরশুমে প্রচুর পর্যটক আসেন এখানে। নৌকায় চেপে পরিযায়ী পাখি দেখতে সত্যিই ভাল লাগবে সকলেরই।
পরবর্তীতে চুপি থেকে বেরিয়ে চলে আসতে হবে পূর্ব বর্ধমানের কাটোয়া শহরের কাছে নয়াচর গ্রামে। এই গ্রামে একটি রিসর্ট রয়েছে এবং এখানেই থাকা খাওয়ার সুব্যবস্থা রয়েছে। এখানে থাকলে দেখতে পাবেন গ্যাঞ্জেটিক ডলফিন অথবা গাঙ্গেয় শুশুক। এছাড়াও নৌকায় চেপে নদীতে ঘুরে দেখতে পাবেন প্রচুর পরিযায়ী পাখি। সবশেষে এখানেই রয়েছে একটা নাইট সাফারির সুযোগ। পায়ে হেঁটে গভীর রাতে উপভোগ করতে পারবেন রোমাঞ্চকর পরিবেশ। দেখতে পাবেন বনবিড়াল, শেয়াল , পেঁচা সহ একাধিক বন্যপ্রাণী।
বনোয়ারীলাল চৌধুরী