তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পর গত বছর ৫ সেপ্টেম্বর তিনি যান তৃণমূল কংগ্রেস ভবনে। ৮ সেপ্টেম্বর যোগ দেন নেতাজী ইন্ডোরে তৃণমূল কংগ্রেসের বুথ ভিত্তিক কর্মী সম্মেলনে। কালীঘাটে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়ি যান বিজয়া দশমীর পরেই। কালীঘাটে তাকে দেখা গিয়েছিল ভাইফোঁটার দিনেও।
আরও পড়ুন: চরম বিপদে অনুব্রত মণ্ডল, এক পদক্ষেপেই খেলা ঘুরিয়ে দিতে পারে ইডি!
advertisement
মাঝে তাঁর নানা বক্তব্য নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছিল। শারীরিক ভাবেই অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন মুকুল রায়। কিন্তু মঙ্গলবার কৃষ্ণনগর সার্কিট হাউজে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সঙ্গে তাকে দেখা যায়। বৈঠকও হয় দু'জনের। আজ যে বিধানসভা কেন্দ্রে মমতার সভা, সেখানে বিজেপির প্রতীকে জিতে বিধায়ক হন মুকুল রায়।
আরও পড়ুন: খুব সাবধান! বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পে ভয়ঙ্কর অভিযোগ উঠল, যেন দুষ্কৃতীদের স্বর্গ রাজ্য
উল্লেখ্য, একুশের বিধানসভা নির্বাচন পরবর্তী সময়ে তৃণমূল ভবনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে এক ফ্রেমে দেখা গিয়েছিল মুকুল রায়কে। তারপর থেকেই জোর চর্চা চলেছে মুকুলের দলবদলের ইস্যু নিয়ে। যদিও খাতায় কলমে মুকুল রায় এখনও বিজেপির বিধায়ক। রাজ্য বিধানসভায় দুই দফার শুনানি শেষে বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়ে দিয়েছিলেন মুকুল রায় দলবদল করেননি, তিনি বিজেপিতেই রয়েছেন। কিন্তু তৃণমূলে আসা ইস্তক সেভাবে তাঁকে সক্রিয় হতে দেখা যায়নি। মাঝেমধ্যে অসংলগ্ন কথা বলে তৃণমূলকে অস্বস্তিতেই ফেলেছিলেন একদা দলের সেকেন্ড ইন কম্যান্ড মুকুল। তারপর থেকেই দলের সঙ্গে দূরত্ব শুরু হতে থাকে।
কিন্তু এরপরই ফের মূল স্রোতে ফিরে আসার চেষ্টা করছেন মুকুল রায়। কৃষ্ণনগর থেকেই সেই যাত্রা শুরু করলেন তিনি।