সামনেই মায়াপুর ইসকনের রথযাত্রা। ইসকনের পক্ষ থেকে তাঁকে রথে আসার আমন্ত্রণও জানানো হয়। কৃষ্ণনগরের বিধায়ক মুকুল রায় বলেন, ''মায়াপুর তার অত্যন্ত প্রিয় জায়গা। এখানে এলে আমার খুব ভালো লাগে।''
আরও পড়ুন: বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা মেরে বাড়ি ফিরেই সব শেষ, আত্মঘাতী প্রাথমিকের শিক্ষক!
প্রসঙ্গত, বিধানসভা ভোটের পরপরই বিজেপি বিধায়ক মুকুল রায় হাজির হয়েছিলেন তৃণমূল ভবনে। নিজের পুরনো ডেরায় সে সময় তাঁকে স্বাগত জানান স্বয়ং তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। যদিও মুকুল রায় বিজেপির বিধায়ক পদে থেকেই তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন বলে সুর চড়ায় বিজেপি। এমনকী হাই কোর্টেরও দ্বারস্থ হয় বিজেপি। আদালত অবশ্য বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের কোর্টে বল পাঠায়।
advertisement
আরও পড়ুন: বিদেশি সাহায্য নেই, নিজেদের ক্ষমতায় ইতিহাস গড়ল বাংলাদেশ! বিশ্বের নতুন চমক পদ্মা সেতু
আর সেই শুনানি শেষে সম্প্রতি স্পিকার জানান, বিজেপিতে-ই (BJP) আছেন মুকুল রায়। মুকুল রায়ের বিধায়ক পদ বাতিলের আবেদনও খারিজ করেন তিনি। মুকুলের বিরুদ্ধে দলত্যাগ বিরোধী আইনে অভিযোগ করেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। তার পর রায় পুনর্বিবেচনা করতে বলে হাইকোর্টের সুপারিশে ফের শুনানি হয়। তাতে দীর্ঘ শুনানির পরে মুকুলের বিধায়ক পদ বাতিলের আবেদন খারিজ হয়ে যায়। মুকুলের বিধায়ক পদ খারিজের আবেদনে বিধানসভায় ৫ দফায় শুনানি হয়েছে।
পাঁচ দফায় শুনানির পর মুকুল বিজেপি-তেই রয়েছেন বলে জানিয়ে দেন বিমান। তিনি জানান, এখানে দলত্যাগের কোনও ঘটনা ঘটেনি। তাই মুকুলের বিধায়ক পদ খারিজের কোনও প্রশ্ন নেই। স্পিকারের এই রায়ের পর বিজেপি ফের হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয় কিনা, সেটাই এখন দেখার। তবে, বিগত কয়েক মাস যাবৎ মুকুল রায়কে রাজনৈতিক ময়দানে তেমন দেখা যায়নি, কখনও সখনও ইতিউতি তাঁকে দেখা গেলেও শারীরিক অসুস্থতা ক্রমশ প্রকট হচ্ছিল। বেশ কিছু বিতর্কিত মন্তব্যও করেছেন মুকুল। এহেন পরিস্থিতিতে এবার মায়াপুরে দেখা মিলল একদা রাজ্য রাজনীতির দাপুটে এই নেতার।