এছাড়াও তারাফেনি নদীতে জল বাড়ার কারণে শিলদার এঠেলা, ঢোল ভাঙ্গায় জল বেড়ে যাওয়ায় ফলে সকালের দিকে বাঁকুড়া-ঝাড়গ্রাম সড়কে বাস চলাচল বন্ধ ছিল। কিন্তু বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে জল কমে শিলদার এঠেলায়। স্থানীয়দের অভিযোগ ঢোলভাঙ্গায় জল বেড়ে যাওয়ায় ফলে যাতায়াত করা অসম্ভব হয়ে পড়ে। আর কজওয়ের একটি অংশ খারাপের ফলে যে কোনও মুহূর্তে ঘটতে পারে বড়সড় দুর্ঘটনা। তাই জল বাড়লে কজওয়ের উপর দিয়ে যাতায়াত করা মুশকিল হয়ে পড়ে। তারা দ্রুত সারাই ও মেরামতির আবেদন জানিয়েছেন।
advertisement
টানা বৃষ্টির জেরে বিপর্যস্ত চন্দ্রী গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রতাপপুর গ্রাম। নিম্নচাপের প্রভাবে টানা বৃষ্টিতে হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ে একটি মাটির দোতালা বাড়ি। সৌভাগ্যবশত, ওই বাড়ির সদস্যরা অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচে গিয়েছেন। পরিবার সূত্রে জানা গেছে, বাড়ির সামনেই ডুলুং নদী প্রবাহিত হয়। গত কয়েকদিন থেকে টানা বৃষ্টিপাতে নদীর জলস্তর আশঙ্কাজনক হারে বেড়ে গিয়েছে। মাটির বাড়ির ভিত আলগা হয়ে পড়ায় শেষ পর্যন্ত আজ ভোরে বাড়িটি ভেঙে পড়ে। ঘটনার সময় পরিবারের সদস্যরা বাড়িতে ছিলেন বাড়ির এক মহিলা সদস্য তিনি দ্রুত বাইরে বেরিয়ে আসতে সক্ষম হন। বড় ধরনের দুর্ঘটনা এড়ান সম্ভব হলেও, সম্পূর্ণ বাড়িটি ধ্বংস হয়ে গিয়েছে।
“আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন“
অন্যদিকে গোপীবল্লভপুর দুই ব্লকে বাঘেশ্বর,কাঠুয়া, বরামারা কজওয়ে ডুলুং নদীর জলে ভাসছে। এছাড়াও জেলার বিভিন্ন কজওয়ে গুলির ক্ষেত্রে প্রায় একই অবস্থা। অন্যদিকে টানা বর্ষণের জেলার মধ্যে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে গোপীবল্লভপুর এক ব্লকের গুরুত্বপূর্ণ বহু রাস্তা। কয়েক দিন আগেও টানা বর্ষণে ব্যপক ক্ষতি হয়েছিল এই ব্লকের রাস্তা গুলি। সেই ক্ষতের মেরামত হতে না হতেই আবারও বেহাল অবস্থা হয়েছে রাস্তা গুলির। জানা গিয়েছে গোপীবল্লভপুর এক ব্লকের আমরদা গ্রামপঞ্চায়েতের অন্তর্গত আমরদা থেকে বাঘঘোড়ি,সাতমা গ্রামপঞ্চায়েতের রম্ভা গ্রাম থেকে রম্ভা হাট, মাকড়ি থেকে সাংড়ো,সারিয়া গ্রামপঞ্চায়েতের সুমিত্রাপুর থেকে আঁধারকুলি,শাশড়া গ্রামপঞ্চায়েতের টিকায়েতপুর থেকে ঘোড়াপিঞ্চা এবং আলামপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের বাঁকড়া থেকে টিকায়তপুর এবং তেতুলিয়া থেকে হাটচালা এই গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা গুলি একেবারে বেহাল অবস্থা হয়ে গিয়েছে।
তন্ময় নন্দী