এরপরই জয়নগর-মজিলপুরে মোয়া হাবের ভবন নির্মাণের কাজ শুরু করেছিল খাদি গ্রামীণ শিল্প বোর্ড। সেই কাজ শেষ হয়েছে। খাদি বোর্ডের এক আধিকারিক বলেন, ‘দু’কোটি ১২ লক্ষ টাকা খরচ করে মোয়া হাবের প্রজেক্ট হয়েছে। দোতলা বাড়ি তৈরি সম্পন্ন হয়েছে। পানীয় জলের সংযোগ দেওয়া শুধু বাকি। এছাড়া ইতালি থেকে অত্যাধুনিক প্যাকেজিং মেশিন আনা হচ্ছে।
advertisement
আরও পড়ুন: এবার হাত ধরলে হাত ভেঙে দেবে নারীরা! দেখুন কাণ্ড
শোনা যাচ্ছে, চলতি বছর মোয়ার মরসুম শুরুর আগেই উদ্বোধন হয়ে যাবে হাবের। জয়নগর-মজিলপুর পুরসভার মাঠে সাড়ে চার কাঠা জমিতে এই মোয়া হাব নির্মাণ হয়েছে। এই হাব তৈরির পরিকল্পনা হয়েছিল প্রায় তিনবছর আগে। কিন্তু বারংবার জায়গা বদলের পরিকল্পনা জড়িত হওয়ায় কাজ একপ্রকার থমকে ছিল।
প্রথমে জয়নগরের সাংসদ প্রতিমা মণ্ডল ও জয়নগর-মজিলপুর ও পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান সুজিত সরখেলের উদ্যোগে জয়নগরের মিত্রগঞ্জে জায়গা দেখা হয়েছিল। কিন্তু সেই জায়গা নিয়ে আপত্তি জানায় খাদি বোর্ড। চেয়ারম্যান সুকুমার হালদার মোয়া হাবের জন্য তিন নম্বর ওয়ার্ডে জায়গা চিহ্নিত করেন। খাদি বোর্ডের কর্তারা সেই জায়গা পরিদর্শন করেন। গত জানুয়ারি মাস থেকে কাজ শুরু হয়।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জয়নগরের বহডুতে সরকারি অনুষ্ঠানে এসে মোয়া হাবের কাজ দ্রুত শেষ করার নির্দেশ দেন। খাদি, বোর্ড সূত্রে খবর, একতলায় হয়েছে কমন ফেসিলিটি সেন্টার। সেখানে থাকবে ল্যাবরেটরি, বসবে প্যাকেজিং মেশিন। এর ফলে জয়নগর ও বহডুর কয়েক হাজার মোয়া ব্যবসায়ী উপকৃত হবেন। মোয়া ব্যবসায়ীরা বলেন, এই বিষয়ে খুব খুশি এই কাজ তাড়াতাড়ি হওয়ায়। প্যাকেজিংয়ের মাধ্যমে মোয়া বিদেশে রফতানি হবে।
সুমন সাহা