লোকসভায় দাঁড়িয়ে হিট অ্যান্ড রান নিয়ে কড়া আইন পাশ করেছেন ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। আর যে আইন সামনে আসতেই ক্ষোভ ফেটে পড়েছে একাধিক ড্রাইভার সংগঠন। এদিন সেই আইনের প্রতিবাদ সহ নিজেদের একাধিক দাবি নিয়ে আন্দোলনে নামে পূর্ব বর্ধমান জেলার ড্রাইভার্স অ্যাসোসিয়েশন। কেন্দ্র সরকারের এই আইনের বিরোধিতার সহ মোট ২৯ দফা দাবি নিয়ে আন্দোলনে শামিল হয় তাঁরা।
advertisement
আরও পড়ুনঃ বক্সার সমস্যা ঝাড়গ্রাম-বাঁকুড়া-পুরুলিয়ায়, ট্রেনের সামনে বারবার চলে আসছে হাতি!
এই প্রসঙ্গে অল ড্রাইভার ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের পূর্ব বর্ধমান জেলার সভাপতি শেখ আনারুল ইসলাম জানিয়েছেন, সর্বপ্রথম হচ্ছে ড্রাইভারদের সুযোগ সুবিধা যেমন ড্রাইভার দিবস এবং ড্রাইভার আয়োগ, বছরের একটা দিন ক্যালেন্ডারে ছুটি ঘোষণা করতে হবে। ড্রাইভার আয়োগ মানে ড্রাইভারদের পরিকাঠামো নিয়ে আঠাশটা দাবির কথা বলতে হবে। তার মধ্যে সর্বপ্রথম, ড্রাইভার যদি রাস্তা ঘাটে চলতে গিয়ে দুর্ঘটনার পজিশনে হাত পা কাটা যায় সেই ড্রাইভার কিন্তু আর গাড়ি চালাতে পারবে না, তার জন্য আমরা সরকারের কাছে ১০ লক্ষ টাকা দাবি রেখেছি। কেউ যদি স্পটে মারা যায় তার জন্য কুড়ি লক্ষ টাকা দাবি আমরা রেখেছি এগুলো মানতে হবে।
এর পাশাপশি তিনি আরও বলেন, এছাড়াও ড্রাইভারের মেডিক্যাল সুযোগ-সুবিধা ড্রাইভার এর পরিবারের শিক্ষা ইত্যাদি বিভিন্ন বিষয়ে তাদের দাবি রয়েছে। সেই সঙ্গে তিনি প্রশ্ন তোলেন, যেখানে ড্রাইভার পাঁচ থেকে দশ হাজার টাকা মাইনেতে মাসে কাজ করে। সেই জায়গায় কোনও প্রকার দুর্ঘটনা ঘটলে সে কি করে ৫ লক্ষ টাকা দেবে এবং ১০ বছর জেল খাটবে, এই নিয়েও প্রশ্ন তোলেন।এদিনের এই আন্দোলন ও ডেপুটেশন কর্মসূচি প্রসঙ্গে অল বেঙ্গল ড্রাইভার অ্যাসোসিয়েশনের পূর্ব বর্ধমান জেলার সদস্য সহ পদাধিকারীদের মত, রাস্তায় পাবলিক যেভাবে গাড়ি চালায় সেই জায়গায় সব দোষটা ড্রাইভারের হয় না। তাই অবিলম্বে সরকারের কাছে এই আইন বাতিল করার আবেদন জানিয়েছেন তাঁরা।
এদিন প্রায় শ’খানেক ড্রাইভার বর্ধমান শহরে জেলাশাসকের কাছে এই ২৯ দফা ডেপুটেশন জমা দেয়। আগামী দিনে এতে কাজ না হলে আরও বৃহত্তর আন্দোলন করার পথে হাঁটবেন বলেও জানিয়েছেন পূর্ব বর্ধমান জেলার এই ড্রাইভার সংগঠন। পাশাপাশি তাঁরা সরকারের কাছে আবেদন রেখেছেন যাতে সরকার ড্রাইভারদের কল্যাণের জন্য ভাবে।