ঘটনাটি ঘটেছে নদিয়ার কল্যাণী থানার সগুনা অঞ্চলের তেলিগাছা এলাকায়। পুলিশ সূত্রে খবর, শুক্রবার রাতে রূপা ঘোষ হঠাৎ দাবি করেন যে ঘর থেকে তার সন্তান চুরি হয়ে গিয়েছে। চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়। প্রতিবেশীরা ছুটে আসেন। পুলিশে খবর দেওয়া হয়। শুরু হয় তল্লাশি।
advertisement
বর্ষায় সাপ-খোপ ঢুকে পড়ছে ঘরে? বাড়ির চারপাশে লাগান এই ৫ গাছ, প্রাকৃতিক ভাবে মিলবে ‘রক্ষা কবচ’!
তদন্তে নামে কল্যাণী থানার পুলিশ। দীর্ঘক্ষণ জেরা করা হয় রূপাকে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, তার বয়ানে অসঙ্গতি লক্ষ্য করেন তদন্তকারীরা। সন্দেহ বাড়তে থাকে। অবশেষে টানা চাপের মুখে রূপা ভেঙে পড়ে এবং স্বীকার করে — তিনিই নিজের সন্তানকে শ্বাসরোধ করে খুন করেছেন এবং দেহটি পাশের বাড়ির নির্মীয়মাণ সেপটিক ট্যাংকে ফেলে দিয়েছেন।
পুলিশ সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে গিয়ে মৃতদেহ উদ্ধার করে কল্যাণী জেএনএম হাসপাতালে পাঠায় ময়নাতদন্তের জন্য। অভিযুক্ত রূপা ঘোষকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
নির্মমতার এই ছবিতে স্তব্ধ এলাকা
সগুনা ও তেলিগাছা অঞ্চলে এই ঘটনায় তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। প্রতিবেশীরা এই ঘটনা মেনে নিতে পারছেন না। ছয় মাসের একটি শিশুর এমন মৃত্যু, তাও নিজের মায়ের হাতে — এই খবরে ক্ষোভে ফেটে পড়েছেন এলাকাবাসী। অনেকেই অভিযুক্ত মায়ের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।
পুলিশ ঘটনার পেছনের মোটিভ খতিয়ে দেখছে। পারিবারিক কলহ, মানসিক চাপ না কি অন্য কোনও কারণ — সব দিকই খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
রঞ্জিত সরকার