জানা গিয়েছে, মৃতার নাম পিউ মালস (২৪)। স্বামী স্নেহাশিস মালস স্থানীয় থানার সিভিক ভলান্টিয়ার পদে কর্মরত। এদিন তিনি স্ত্রী ও তিন বছরের সন্তানকে নিয়ে বাইকে করে শ্বশুরবাড়ির উদ্দেশে রওনা দিয়েছিলেন। মাঝপথে ঘটল বিপত্তি। রাস্তায় গ্যাস সিলিন্ডার বোঝাই একটি লরি পাশ কাটিয়ে যাওয়ার সময় হঠাৎই পিউ দেবীর শাড়ি লরির হুকে আটকে যায়। মুহূর্তের মধ্যেই তিনি বাইক থেকে ছিটকে রাস্তায় পড়ে যান। আর সেই সময় লরির চাকা তার মাথার উপর দিয়ে চলে যায়। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় মহিলার। কিন্তু আশ্চর্যের বিষয়, মায়ের কোলের তিন বছরের শিশুটি অক্ষত অবস্থায় ছিল।
advertisement
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, দুর্ঘটনার পরও মায়ের নিথর দেহের কোলেই বসে ছিল শিশুটি। মুখে বিভ্রান্তি, চোখে ভয়। সেই দৃশ্য দেখে উপস্থিত সকলের চোখে জল এসে যায়। দেখে মনে হচ্ছিল, মৃত্যুর পরও যেন নিজের সন্তানের সুরক্ষা দিতে শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত তাকে শক্ত করে জড়িয়ে রেখেছেন মা। স্থানীয়রা বলেন, “এ যেন মায়ের ভালবাসার প্রকৃত প্রতিচ্ছবি। নিজের জীবন দিয়ে সন্তানের জীবন রক্ষা।”
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায়। তবে, স্বামী স্নেহাশিস মালস শারীরিকভাবে অক্ষত রয়েছেন বলে জানা গিয়েছে, যদিও মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছেন তিনি। চন্দ্রকোণার মানুষ এই দৃশ্য দেখে এখনও শোকে স্তব্ধ। এলাকাজুড়ে একটাই আলোচনা – “মৃত্যুর পরও মা সন্তানকে ছাড়েননি।”






