বর্ষার বিকেল কালো মেঘ আর গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টির সঙ্গে নদী-পাহাড় ও সবুজ জঙ্গল ঘেরা বেলপাহাড়িতে ভ্রমণ আপনার অনুভূতি এক অন্য জায়গায় নিয়ে যাবে। বর্ষায় প্রকৃতির অপরূপ সৌন্দর্য ফুটে ওঠে তার স্বাদ নিতে পর্যটকেরা আসছেন এখানে। বর্ষায় পাহাড় আরও সবুজ হয়ে ওঠে। নদী, জলপ্রপাতও ফুলেফেঁপে ওঠে। তবে ভয়ও কম নেই। অতি বৃষ্টি, ধস— এই সব কিছুর ভয় রয়েছে। প্রকৃতি কখন রূপ বদলায় কেউ জানে। তাই বর্ষায় এই সব ঝুঁকি পূর্ণ এলাকায় পর্যটকরা আসছেন বেলপাহাড়িতে। কলকাতার উত্তরপাড়া থেকে আগত পর্যটক অয়ন চক্রবর্তী বলেন, ‘রিমঝিম বৃষ্টির মধ্যে সবুজ অরণ্য দেখে খুব ভাল লাগে তাই বারবার এখানে আসি। এখানকার নদী পাহাড়গুলো আমাদের খুব আকর্ষিত করে।’
advertisement
ঝাড়গ্রামের এই জায়গায় পাথরের উপর দিয়ে কুলু কুলু শব্দে বয়ে যাচ্ছে নদীর জল। তাই ঘাঘরার সৌন্দর্য সম্পূর্ণ উপভোগ করতে চাইলে বর্ষাকালে যাওয়াই শ্রেয়। এখানে রয়েছে একটি গিরিখাতও। ঘাঘরার কাছেই রয়েছে তারাফেনি জলাধার। ঘন সবুজের মাধ্যে টলটলে জলের এই জলাধারটি দেখতে বেশ লাগে। শালে ঘেরা জঙ্গলের মধ্যে রয়েছে খ্যাঁদারানি হ্রদ। পড়ন্ত বিকেলে খ্যাঁদারানির সৌন্দর্য মন ভরে যাবে। হ্রদের পাশে রয়েছে একটা সেতু। সেখান থেকেই সূর্যাস্ত দেখতেও দিব্যি লাগবে। জায়গাটি একেবারেই নিরিবিলি, আশপাশে তেমন জনবসতি নেই। বেলপাহাড়ির বাসিন্দা মনোরঞ্জন দাস বলেন, ‘এবছর আবহাওয়া ভালথাকার কারণে ভাল পর্যটকের আগমন ঘটেছে বেলপাহাড়িতে।’
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
বর্ষায় এখানকার নদী, জলপ্রপাত, পাহাড়ি গ্রামগুলি মায়াবী হয়ে উঠে। না এলে আপনি মিস করবেন। এই বর্ষায় তারাফেনী ব্যারেজ ছাড়াও আপনি ঘুরে দেখতে পারেন ঘাগরা জলপ্রপাত, খাঁদারানী ড্যাম, কানাইসর পাহাড়, সাদা পাহাড়, হাঁসা ডুঙ্গরি সহ নানা স্পট।
তন্ময় নন্দী