Jhargram News: নিম্নচাপের টানা বৃষ্টি, লাখ লাখ কিউসেক জল ছাড়তেই 'দুয়ারে দুর্ভোগ'! জলে দাঁড়িয়ে রান্না করছেন বাসিন্দারা

Last Updated:

Jhargram News: অনবরত বৃষ্টি আর সেই বৃষ্টির জলে নাজেহাল অবস্থা বাসিন্দাদের। এদিকে আবার জলাধারগুলি থেকে জল ছাড়তেই বিপত্তি মাথাচাড়া দিচ্ছে।

+
নদীর

নদীর জল বেড়ে বন্যা পরিস্থিতি

ঝাড়গ্রাম: বৃষ্টির জলেই থৈ থৈ করছে উঠোন, সেই উঠোনেই রান্না করছেন পরিবার। কীভাবে দুর্ভোগ থেকে মুক্তি ঘটবে সে আশায় প্রহর গুনছেন ভৈরববাঁকি, তারাফেনী ও ডুলুং নদী তীরবর্তী এলাকার গ্রামগুলি। নিম্নচাপের জেরে টানা বৃষ্টিতে জলস্তর বৃদ্ধি পেতেই ঝাড়গ্রামের বিনপুর ও লালগড় একাধিক গ্রামে ঢুকল বন্যার জল। বিনপুর বাজারের একাধিক বসত বাড়ি জলের তলায়। কোথাও কোথাও নদীর জল উঠে এসেছে রাজ্য সড়ক ও গ্রামীণ সড়কের উপর। ফলে বেশ কিছু রাস্তায় যান চলাচল সম্পূর্ণভাবে বন্ধ হয়ে পড়েছে। জেলার গ্রামীণ ব্লকগুলির পাশাপাশি শহর ঝাড়গ্রামের নিকাশি ব্যবস্থার দুর্দশাও এদিন সামনে এসেছে।
ঝাড়গ্রাম জেলা প্রশাসনের সূত্রে জানা গিয়েছে, সকালে ৮টা নাগাদ ১,২৮,৫০০ কিউসেক এবং দুপুর ১২টা নাগাদ ২,৪৩,৬৫০ কিউসেক জল ছাড়া হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে প্রশাসনের আশঙ্কা, বিকেলের মধ্যে সুবর্ণরেখা ও ডুলুং নদীর জল বিপদসীমা অতিক্রম করতে পারে। প্রশাসনের পক্ষ থেকেও লাগাতার মাইকিং করে সতর্ক করা হচ্ছে নদী তীরবর্তী এলাকাগুলির বাসিন্দাদের। সবকিছুরই নজরদারি চালানো হচ্ছে জেলার কন্ট্রোল রুম থেকে। জেলা শাসক সুনীল আগরওয়াল জানান, “গালুডি থেকে দু’দফায় জল ছাড়া হয়েছে। তার ফলে ডুলুং ও সুবর্ণরেখা নদীতে জলস্তর বেড়েছে। আমরা পরিস্থিতির উপরে নজর রাখছি। এখনও পর্যন্ত ত্রাণ শিবির খোলার মত পরিস্থিতি তৈরি হয়নি।”
advertisement
advertisement
তবে বৃষ্টিপাত ও জলাধার থেকে আরও জল ছাড়া হলে পরিস্থিতি আরও জটিল হতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা। বিনপুরের করাতশাল গ্রামের বাসিন্দা কৃষ্ণপ্রদর শ্যামলী বলেন ‘বৃষ্টিতে ভোর থেকে বাড়ির উঠোন পর্যন্ত জল এসেছে, বাড়ি থেকে বাইরে যাওয়া অসম্ভব হয়ে পড়ছে। বৃষ্টি আরও বাড়লে ফসলের ক্ষয়ক্ষতি হবে।ঝাড়গ্রামের বিনপুর শিব মন্দির এলাকায় নিকাশি ব্যবস্থা বেহাল হওয়ার কারণে জলমগ্ন এলাকা। বিনপুর গার্লস স্কুল ও আইসিডিএস কেন্দ্র সংলগ্ন ১৫ টি বাড়িতে জল ঢুকতে শুরু করেছে। সাধারণ মানুষ বাড়ি থেকে বেরোতে পারছেন না, কেউ নিয়েছে পাশের বাড়িতে আশ্রয়, কেউ আবার বাড়ির ছাদে। চরম সমস্যার মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন ওই এলাকার বাসিন্দারা। চিলকিগড়ের বাসিন্দা সেলিম আলী বলেন ‘রাস্তা দিয়ে পারাপার করা যাচ্ছে না, ঘুর পথে যেতে হচ্ছে। প্রশাসন সক্রিয় রয়েছে কোনভাবেই পারাপার করতে দিচ্ছে না’।
advertisement
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
অতি বৃষ্টির কারণে জলস্তর বৃদ্ধি পেয়েছে ডুলুং, ভৈরববাঁকি ও তারাফেনী নদীতে। বিনপুরের করাতশাল ও ভদ্রপাল গ্রামে ঢুকে পড়ে নদীর জল। কংসাবতীর জলে প্লাবিত লালগড়ের কয়েকটি গ্রাম। ভৈরব বাঁকীর জলে প্লাবিত রনগুয়া ও নিশ্চিন্তপুরের একাংশ। নিম্নচাপের প্রভাবে ভারী বৃষ্টির ফলে জামবনি ব্লকের চিল্কিগড়ে ডুলুং নদী কজওয়ের উপর দিয়ে প্রবল জলের স্রোত বইছে। যোগাযোগ ব্যাবস্থা বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে জামবনি ব্লকের চিল্কিগড়, গিধনী সহ প্রায় ২০ টি এলাকার গ্ৰামের বাসিন্দাদের সঙ্গে জেলা শহর ঝাড়গ্রামের।
advertisement
তন্ময় নন্দী
বাংলা খবর/ খবর/দক্ষিণবঙ্গ/
Jhargram News: নিম্নচাপের টানা বৃষ্টি, লাখ লাখ কিউসেক জল ছাড়তেই 'দুয়ারে দুর্ভোগ'! জলে দাঁড়িয়ে রান্না করছেন বাসিন্দারা
Next Article
advertisement
Durga Puja Weather Update: নবমীর রাত থেকে আবহাওয়ার পরিবর্তন ! তার আগে সপ্তমী-অষ্টমীতে কী পূর্বাভাস? বৃষ্টি কি বাধ সাধবে ঠাকুর দেখায়
নবমীর রাত থেকে আবহাওয়ার পরিবর্তন ! সপ্তমী-অষ্টমীতে কী পূর্বাভাস? বৃষ্টি কতটা হতে পারে
  • নবমীর রাত থেকে আবহাওয়ার পরিবর্তন !

  • তার আগে সপ্তমী-অষ্টমীতে কী পূর্বাভাস?

  • বৃষ্টি কি বাধ সাধবে ঠাকুর দেখায়

VIEW MORE
advertisement
advertisement