দলছুট এক হিংস্র হনুমানের কামড়ে আক্রান্ত গ্রামবাসী। শেষ কয়েকদিন ধরে এই পূর্ণবয়স্ক হনুমানের দাপটে একপ্রকার রাতের ঘুম উড়েছে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার মহিষাদলের মধ্যাহিংলী গ্রামের বাসিন্দাদের। গ্রামবাসীরা জানান, এলাকায় বেশ কয়েক মাস ধরে হনুমানের দাপট ক্রমশ বাড়ছে। দলছুট হিংস্র হনুমানের কামড় খেয়েছেন বহু মানুষ। সেপ্টেম্বর মাসের শেষ দিকে এরকমই একটি দলছুট হিংস্র এক হনুমানকে খাঁচাবন্দি করে নিয়ে যান বন দফতরের কর্মীরা। এরপর মহিষাদলের মধ্য হিংলির গ্রামবাসীদের মনে স্বস্তি ফিরেছিল। কিন্তু কয়েকদিন যেতে না যেতেই আবারও হনুমান আতঙ্ক ফিরে এসেছে।
advertisement
ফের এক দলছুট হিংস্র হনুমানের দাপটে নতুন করে আক্রান্ত ১০ জনেরও বেশি। এই বিষয়ে জেলা পরিষদের সদস্যা সীমা মাইতি জানান, “এলাকায় হনুমানের উপদ্রবে অতিষ্ঠ মানুষ। যাকে-তাঁকে কামড়াচ্ছে। পরপর এই ঘটনা চলতেই থাকছে। এর আগেও বন দফতরের কর্মীরা একটি হিংস্র হনুমান খাঁচাবন্দি করে নিয়ে গিয়েছিল। আবারও নতুন করে হনুমানের দাপট শুরু হয়েছে। সাধারণ মানুষকে কামড়াচ্ছে।”
হলদিয়ার রেঞ্জ অফিসার অতুল প্রসাদ দে বলেন, “খবর পেয়েই ওই এলাকায় বন দফতরের কর্মীরা পৌঁছে গিয়েছে। আমরা হনুমানটিকে বাগে আনতে ফাঁদ পেতেছি। প্রজনন ঋতুতে হনুমানের এই আক্রমণাত্মক হওয়া অস্বাভাবিক নয়। দল থেকে বিচ্ছিন্ন এবং অন্য পুরুষ হনুমানের অত্যাচারেই এমন করছে।”
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
শেষ কয়েকদিন হনুমানের দাপটে গুরুতর আহত হয়েছেন ১০ জন। তাঁদের বেশ কয়েকজনের বাসুলিয়া গ্রামীণ হাসপাতালে চিকিৎসা চলছে। এক আহতকে তমলুক জেলা হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। সব মিলিয়ে নতুন করে হনুমানের আতঙ্কে কার্যত গৃহবন্দি মহিষাদলের ওই এলাকার মানুষজনেরা। বন দফতরের কর্মীরা হনুমানকে বাগে আনতে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। ওই হিংস্র হনুমান বন দফতরের হাতে ধরা পড়লে হাঁফ ছেড়ে বাঁচবেন এলাকার মানুষজন।