এক মাসের ছুটিতে এসে সাত দিনের মাথায় যেতে হল নিজের দায়িত্ব পালনের কাজে, যাওয়ার পথেই ঘটে গেল এক দুশ্চিন্তাময় ঘটনা, মাসের পর মাস কেটে গেলেও এখনও চিন্তা নামেনি মাথা থেকে।
আরও পড়ুন: মানুষ চাইলে সব পারে, প্রমাণ দিলেন সঞ্চয় স্যার! একসময়ের ‘হাসির পাত্র’ আজ কলেজের সহকারী অধ্যাপক
বাঁকুড়ার বেলিয়াতোড় থানার অন্তর্গত ডাংচাওলা গ্রামের গৃহবধূ রাখিপালের দাবি, তাঁর স্বামী জয়দেব পাল সিআরপিএফে কর্মরত মণিপুরে, এক মাসের ছুটিতে তিনি এসেছিলেন কিন্তু ৯ মে জয়দেব বাবুকে সাত দিনের মাথায় চলে যেতে হয় দেশ রক্ষার কাজে।
advertisement
যখনই তাঁর কাছে ফোন আসে যে তাঁকে যেতে হবে, রীতিমতো তিনি তড়িঘড়ি রওনা দেয় দুর্গাপুর স্টেশন এবং সেখান থেকে বর্ধমান, জয়দেববাবু এই স্টেশন থেকে যখন গুয়াহাটি যাওয়ার ট্রেন ধরে তখন তিনি দেখেন তাঁর পকেটে থাকা ফোন, এটিএম কার্ড ও পার্স চুরি হয়ে যায়। সেই মুহূর্তে তিনি এক টিটির ফোন থেকে তাঁর স্ত্রী রাখিপালকে এই ঘটনার বিষয়টি জানান।
আরও পড়ুন: এনআইআরএফ উৎকর্ষ তালিকায় বেশ খানিকটা পিছিয়ে পড়ল কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়, কারণ কী?
রীতিমতো এ বিষয়টি রাখি পাল স্থানীয় বেলিয়াতোড় থানা, বাঁকুড়া সাইবার ক্রাইম ও বর্ধমান জিআরপিএফও বিষয়টি লিখিত আকারে জানান। রাখি পালের দাবি, তাঁর স্বামীর অ্যাকাউন্ট থেকে দফায় দফায় এক লাখ পঁচিশ হাজার টাকা গায়েব হয়ে যায়! চিন্তার বিষয় বাড়ি থেকে যাওয়ার দু’দিন আগে বাড়ির বিশেষ কাজের জন্য লোন নেওয়া হয়েছিল। এখন কীভাবে সেই টাকা পরিশোধ হবে সেই চিন্তায় ঘুম উড়েছে পরিবারের সকলের! এই ঘটনার তিন মাস কেটে গেলেও এখনও কোনও সুরাহা হয়নি।
রাখি পাল বলেন, ‘এখন আমাদের মানসিক অবস্থা খুবই খারাপ।’ এই চিন্তা নিয়ে তাঁর স্বামী ডিউটি করছেন এবং এখানেও তিনি শ্বশুর শাশুড়ির সঙ্গে তাঁর ছোট্ট বাচ্চাকে নিয়ে থাকেন! এছাড়াও সবথেকে বড় চিন্তা লোন, সেই লোনের টাকা কীভাবে পরিশোধ হবে সেই দুশ্চিন্তায় ঘুম উড়েছে পরিবারের সকলের। রাখি পাল এখন প্রশাসনের কাছে সহযোগিতা চাইছেন, এই বিষয়ে যেন অতি শীঘ্রই সুরাহা পাওয়া যায় সেই দাবি রাখছেন প্রশাসনের কাছে।