রবিবার দমদম বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “স্তম্ভিত করে দেওয়ার মতো ঘটনা। ওই মেয়েটি একটি বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজে পড়ছিল। বেসরকারি কলেজে কার দায়িত্ব? রাত সাড়ে ১২টায় বেরলো কী করে? আমি যতদূর জানি জঙ্গলের মধ্যে ঘটেছে ঘটনাটি। তদন্ত চলছে। আমি হতবাক। বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজগুলিকে সতর্ক হতে হবে। পড়ুয়াদের টেক কেয়ার করতে হবে। বিশেষ করে মেয়েদের ক্ষেত্রে রাতের বেলা বেরোতে দেওয়া উচিত নয়। বিশেষ করে ছোট মেয়েদের। নিজেদের রক্ষা করতে হবে। বিশেষ করে জঙ্গল এলাকায়।”
advertisement
সিপিআইএম রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম বলেন, “ধর্ষকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মেয়েদের ঘাড়ে দোষ চাপাচ্ছেন। এত রাতে মেয়েরা কেন বেরোবে, এই প্রশ্ন তো দক্ষিণপন্থীদের ভাষা। উত্তরপ্রদেশ, মধ্যপ্রদেশ, রাজস্থানে বিজেপি আর আরএসএস-রা এই কথা বলে। আজ তৃণমূল সেই পথেই হাঁটছে।”
আরও পড়ুন: পাকিস্তানে ভারতের ১০০ টাকার ‘মূল্য’ কত হবে জানেন…? শিওর, আপনিও চমকাবেন উত্তরে!
সেলিম আরও বলেন, “রাজ্যের প্রশাসন পুরোপুরি ব্যর্থ। পুলিশের কাজ এখন কয়লা-বালি পাচারকারীদের সুরক্ষা দেওয়া। মুখ্যমন্ত্রী সেই ব্যর্থতাকে ঢাকতে অপরাধের দায় মেয়েদের ঘাড়ে চাপাচ্ছেন।” আরজি কর ঘটনার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, “আরজি কর হাসপাতালে অভয়াকে ধর্ষণ ও খুনের পর আমরা ‘রাত দখল’ আন্দোলন করেছিলাম। আর আজ মুখ্যমন্ত্রী নিজেই মেয়েদের রাতে স্বাধীনতা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন। এটা লজ্জাজনক।”
তাঁর মতে, “দক্ষিণপন্থীদের উত্থান মানেই নারী স্বাধীনতার উপর আক্রমণ। তৃণমূল এখন সেই একই পথে।” রাজ্যে নারী নিরাপত্তার প্রশ্নে বারংবার শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস এবং রাজ্যের পুলিশ মন্ত্রী অথবা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও প্রশাসনকে দায়ী করেছে বিরোধী দলগুলি।দুর্গাপুরে ধর্ষণের অভিযোগ আসার সঙ্গে সঙ্গে দেখা গিয়েছে সিপিআইএম যুব সম্প্রদায়ের কর্মী সমর্থকেরা গিয়ে বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ সংগঠত করেছেন । আজ সাংবাদিক সম্মেলনে সিপিআইএমের রাজ্য সম্পাদক মোহম্মদ সেলিম আবারও রাজ্য সরকার ও পুলিশ প্রশাসনকে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন রাজ্যে এই নারী নিরাপত্তা এবং ধর্ষণের প্রতিবাদে আন্দোলনে সোচ্চারিত হবেন তারা সঠিক বিচার না পেলে।