আরও পড়ুন: ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে ফের ড্রোন, আতঙ্কে হিঙ্গলগঞ্জের গ্রামের বাসিন্দারা
এ ব্যাপারে খাদি গ্রামীণ শিল্প বোর্ডের এক আধিকারিক বলেন, আমরা ইতিমধ্যে মেশিন ইনস্টল করে ফেলেছি। দু-একটা ছোটো-খাটো কাজ বাকি আছে। জয়নগর মোয়া হাব সোসাইটি গঠিত হয়েছে শুনলাম। সরকারি নিয়ম মেনে আমরা দেখাশোনার পুরো দায়িত্ব ওদের হাতে তুলে দেব।এই মোয়া হাবের দোতালায় থাকছে মোয়াকে প্রায় একমাস ধরে সংরক্ষণ করার জন্য অত্যাধুনিক যন্ত্র।পাশাপাশি মোয়া নিয়ে গবেষণা ও প্রস্তুতকারকদের প্রশিক্ষণ দেওয়ার ব্যবস্থা।২০২৪ সালের ৬ জানুয়ারি জয়নগরের বহড়ু হাইস্কুলের মাঠে প্রশাসনিক সভায় দাঁড়িয়ে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দ্রুত মোয়া হাবের কাজ শেষ করার নির্দেশ দিয়েছিলেন। তার পরেই তড়িঘড়ি মোয়া হাবের কাজ ও শেষ করা হয়। সম্প্রতি জয়নগরের সাংসদ প্রতিমা মণ্ডল নিজে বিভিন্ন বিভাগীয় দফতর, বারুইপুর মহকুমা শাসক, খাদি বোর্ড, বিডিও-র সঙ্গে যোগাযোগ রাখেন। একাধিক বার আলোচনা বসেন। তার পরেই জয়নগর এক নম্বর বিডিও অফিস বহড়ুতে জয়নগরের মোয়া ব্যবসায়ীদের নিয়ে আলোচনার মধ্যে দিয়ে জয়নগর মোয়া হাব সোসাইটি গঠন করা হয়।এদিন ৯ জনের একটি মূল কমিটি গঠন করা হয়। এদিন এই কমিটি গঠনে উপস্থিত ছিলেন জয়নগর ১ নং ও ২ নং দায়িত্ব প্রাপ্ত শিল্প উন্নয়ন আধিকারিক শ্রেয়া বর্গী। এই মোয়া হাব চালু হলে এখানকার প্রায় সাড়ে ৪ হাজার পরিবার প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে উপকৃত হবেন।
advertisement
আরও পড়ুন: বাবা ক্যানসার রোগী,মা সেলাইকর্মী…ছেলে উচ্চ মাধ্যমিকে ৯৩.৪%! সাফল্যের স্বপ্নে অবিচল সাগর
এ ব্যাপারে মোয়া ব্যবসায়ী রঞ্জিত ঘোষ, তিলক কয়াল, রাজেশ দাস ও গণেশ দাস বলেন, মোয়া হাব চালু হলে নিঃসন্দেহে এখানকার মোয়া প্রস্তুতকারক ও ব্যবসায়ী এবং মোয়া ব্যবসার সঙ্গে জড়িত সবার উপকার হবে। জয়নগরের মোয়া ব্যবসায় নতুন দিগন্ত খুলে যাবে। আর ও উন্নত মানের প্যাকেজিং সহ খাদ্যবিধি মেনে আমরা খাদ্য প্রেমিকদের হাতে তুলে দিতে পারব এই মোয়া।
আমাদের সদ্য গঠিত জয়নগরের মোয়া হাব সোসাইটির মাধ্যমে এই হাবটি পরিচালিত হবে। জয়নগর মজিলপুর পুরসভার চেয়ারম্যান সুকুমার হালদার বলেন, জয়নগরের মানুষের দীর্ঘ দিনের স্বপ্ন পূরণ হতে চলেছে এই মোয়া হাব। খুব ভালো লাগছে। জয়নগরের সাংসদ প্রতিমা মণ্ডল বলেন, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চেয়েছেন জয়নগরে মোয়াকে বিশ্বের মানুষের কাছে তুলে ধরতে। তার জন্য প্রয়োজন ছিল একটি মোয়া হাবের। তা এবার চালু হতে চলেছে পুজোর আগেই। তাই খুশির হাওয়া জয়নগরে।